রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ

মোঃ নাসির, প্রতিনিধিঃ সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের কর্মকাণ্ডে পুলিশ বাহিনীর সব সদস্য মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ । বেনজীর আহমেদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ’ শিরোনামে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে পুলিশ বাহিনী গঠনে পুলিশের সব সদস্য দৃঢ়তার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করছেন। পুলিশ বাহিনীর যেসব বিতর্কিত সদস্য গণহত্যাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ ছিলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাঁদের বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্য একমত। দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহিতা। পুলিশের ভিতরে ব্রোকার হিসাবে পরিচিত মুখ এবং পুলিশ সদস্য আছেন বা ছিলেন ডি এ তায়েব একবার আনঅফিসিয়ালি মিডিয়ার এক ব্যক্তিকে বেনজির আহমেদ সম্পর্কে বলেছিলেন হ্যান্ডসাম বেনজির স্যারের দুইটা দুর্বলতা নারী আর টাকা । উনার জীবনে নারীর অভাব হয়নি, একসময়ের চিত্র নায়িকা কেয়াকে অনেক দিন নিজের কবজায় রেখেছিলেন বেনজির । অশ্লীল সিনেমার পরিচালক রাজু চৌধুরীর মাধ্যমে বেনজিরের সাথে পরিচয় হয় চিত্র নায়িকা কেয়ার । কেয়া কে পছন্দ করেন বেনজির । তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে কেয়ার সাথে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করতেন বেনজির । কেয়াকে টিস্যু  পেপার হিসেবে ব্যবহার করে গার্বেজ করে দেন ।

 

তারপর চোখে পড়লো  লাক্স সুন্দরী অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম । মিমের গুলশানের বাসায় যাতায়াত করতেন বেনজির ।এদিকে চতুরা মিম পাশাপাশি আর একজনের সাথে কানেক্টেড ছিলেন । তিনি হচ্ছেন তোফায়েল আহমেদ এর আপন ভাগ্নে ভোলার প্রাক্তন পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান । তবে বেনজির জানতেন না মিম তার চোখ ফাঁকি দিয়ে ডবল স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করছেন । মনিরুজ্জামান গুলশানে মিমকে একটা বিলাসবহুল ফ্লাট উপহার দেন । কিন্তু বেনজির যখন মিমের কাছে আসা যাওয়া শুরু করেন, মনিরুজ্জামান বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি । একদিন মিমের ফ্ল্যাটে দুজনের মুখোমুখি দেখা হয়ে যায় । বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামান বেনজিরের গালে কোষে চড় মারেন । বেনজির তো রেগে আগুন । ফোন করে পুলিশ ডেকে নেন বেনজির , মনিরুজামান কে গ্রেফতার করার জন্য । আর মনিরুজ্জামান তার পাওয়ারফুল মামা তোফায়েল আহমেদকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানান । তোফায়েল নাকি ফোনে বেনজিরকে শাসান।
তোফায়েল আহমেদের থ্রেট খেয়ে দমে যান বেনজির ।

আমার জানা মতে বিগত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট বেনজীর আহমেদ তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন । তার বিরুদ্ধে বহু নিরীহ মানুষকে ক্রসফায়ার দেয়ার অভিযোগ আছে । দুর্নীতি করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন । তিনি গোপনে দেশ ত্যাগ করেছেন । পালিয়ে গিয়ে তিনি বেঁচে গেছেন । বিদেশে পাচার করা তার হাজার কোটি টাকা দেশে ফেরত আনা হোক । আমি মনে করি বেদখল করা সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক ।

এমন ব্যক্তির দায়ভার কখনো কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা এবং দুদকের একাধিক মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সব পুলিশ সদস্য মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ।

পুলিশ বাহিনীর যেসব বিতর্কিত সদস্য গণহত্যাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্য একমত পোষণ করেন।

সম্প্রতি গণহত্যা, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিংসহ একাধিক মামলায় জড়িত পলাতক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে একটি ষড়যন্ত্রমূলক সভায় অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়।

ফেসবুক থেকে নেওয়া লেখাটা হলো -আপনি প্রাক্তন পুলিশ প্রধান। শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে, অহমিকায়, দুর্নীতিতে, কুকীর্তিতে ,  বাহিনীর দলীয়করণে, চাকুরী শৃংখলা তছনছ করায়, শর্তহীন রাজনৈতিক আনুগত্যে নজিরবিহীন উদাহরণ সৃষ্টি করে পালিয়ে গেছেন দেশ থেকে। সেই আপনিই বিদেশ থেকে আপনার ফ্যাসিবাদী বন্ধুদের কাছে পুলিশ নিয়ে মিথ্যে মিথ দাঁড় করিয়ে আবার এক নোংরা খেলায় মেতেছেন।

সুযোগ পেলেই আপনার পতিত দলের সমর্থনে পুলিশ নেমে যাবে সে বিশ্বাস কি সত্যি আপনি করেন? যেখানে  আগষ্টের ৩/৪ তারিখ অন্য বাহিনী আন্দোলনরত জনসাধারণের উপর গুলি চালানো বন্ধ করে দেয়, আপনার পুলিশ  ৫ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত গুলি চালাচ্ছিল,  অন্ধভাবে তখনো তারা মরছিল আর মারছিল। আপনার প্রিয়ভাজন ষ্টার কপেরা গুলি চালাবার নির্দেশ দিয়ে হেলিকপ্টারে সটকে পড়ে। অধীনস্থরা নির্দেশনার জন্য কাউকে খুঁজে পায়নি। সেই  বিপদসংকুল সময় পার করা অধীনস্থরা আপনার বা আপনার দলের প্রতি প্রসন্ন থাকবে?  হাসালেন।

আপনার মত চরমভাবে দলীয় চিহ্নিত কিছু কর্মকর্তার অবিমৃষ্যকারীতায় জনরোষে পিষ্ট , ক্ষত বিক্ষত পুলিশ আপনাকে  আর সমীহ করে না ব্রো।  অধীনস্থরা আপনার আর আপনার  রেখে যাওয়া অনুসারীদের নাম শুনলে এক দলা থুথু দেয় , আপনাদের বিচার চায় প্রকাশ্যে।

আপনার ভাষায় ‘এন্টি আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক দল বি এন পি আর জাতীয় পার্টি’ এর সময় যে পুলিশ রিক্রুট হয়েছে তারা সবাই আপনার প্রিয় দলের বিপক্ষে। এত সরলীকরণ করলে কি চলে? আপনি নিজেও তো এরশাদ আমলে ঢুকেছেন পুলিশে, বি এন পি আমলে যাবতীয় সুযোগ -সুবিধা-বিদেশ ভ্রমণ – প্রমোশন সবই নিয়েছেন। বি এন পি আমলেই রাজারবাগে ফোর্সের টিএ ডিএ এর টাকা আত্মসাৎ , নারায়ণগঞ্জে শৃংখলা ভংগ, কিশোরগঞ্জে জুনিয়র কর্মকর্তার স্ত্রীর সাথে অশোভন আচরণ, পুলিশ সদর দপ্তরে বসে সরাসরি বিদেশী দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ এসব অভিযোগে বিভাগীয় মামলা থেকে হাতেপায়ে ধরে বি এন পি সরকারেরই আনূকুল্য নিয়ে কোনরকমে পার পেয়েছেন।

বি এন পি সরকার সৃষ্ট পিওএইচএস আবাসিক এলাকায় বরাদ্দের চেয়ে বেশী জমি নিয়ে  দশ কাঠার বিশাল প্লট বাগিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বি এন পি আমলেই আপনি সরকারের অনুমোদনে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চাকরি করতে গেছেন। তো আপনি কি তাই বলে বি এন পি- র সমর্থক হয়ে গিয়েছিলেন?  আ. লীগের ক্ষমতা পেয়ে পরে তো ঠিক তার উল্টোই করেছেন।

আপনার নেত্রী যেমন গায়েবী ভাষণ দিয়ে দেশে অবস্থানরত তার নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলেছেন আপনি তেমনি দূরদেশে বসে অডিও বক্তৃতা দিয়ে দেশের অনেক অফিসারকে বিপদে ফেলেছেন। সন্দেহের চোখ যাবে এখন অনেকের দিকে।

মনে রাখা দরকার পুলিশ কোন পতিত অফিসারের কথা শুনে না, আপনিও কাউকে পাবেন না যেমন করে আপনি চাইছেন।  রাজনৈতিক বন্ধুদের বাহবা নেয়ার জন্য আবোলতাবোল বলতে পারবেন শুধু ।

(পুলিশের সাবেক ত্রকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ফেসবুক থেকে নেওয়া)

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন