কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় তার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেবে র্যাব।
বুধবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানায় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
র্যাব জানায়, সিফাত ও শিপ্রাকে র্যাবের হেফাজতে এনে তদন্তকারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এরপর রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব ফোনালাপ বেরিয়েছে তাও তদন্তে বিবেচনা করা হবে।
র্যাব জানায়, যারা সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন সাক্ষীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন প্রমাণ থাকার কারণেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন সাক্ষীকে র্যাব হেফাজতে এনে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সিফাত ও শিপ্রার সঙ্গে র্যাবের যোগাযোগ হয়েছে, তাদেরকে যে কোন সময়ই প্রয়োজন অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। এই মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলার আসামি করা হয় সিফাতকে। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।
৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন বাদী হয়ে একই আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকালে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত, এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ ৭ পুলিশ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। একই আদালত র্যাবের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে সাত দিনের রিমান্ড এবং অপর চার আসামি কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও এসআই লিটনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন