ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাবিরাটে সাঁওতালদের ভূমি ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ, এএলআরডি, মানঝি পরিষদ ও জনউদ্যোগ যৌথভাবে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। গাইবান্ধা আইন কলেজের ছাত্র ব্রিটিশ সরেন প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের রাজাবিরাটে ব্রিটিশ সরেনের বাড়ির সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাড. ফারুক কবীর ও সুচিত্রা মুরমু তৃষ্ণার সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব পরিবেশ আন্দোলনের নেতা ওয়াজিউর রহমান রাফেল, জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির, নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, সমাজকর্মী মনির হোসেন সুইট, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোর্শেদ দীপন, মানঝি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাখন মার্ডি, সহ-সাধারণ সম্পাদক রূপ সরেন, কোষাধ্যক্ষ শ্যামল হেমব্রম, সদস্য তারামনি সরেন, শ্যামবালা হেমব্রম, জুলিয়াস সরেন, মেরিনা সরেন, লিমা মুরমু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ৩ জানুয়ারি রাজাবিরাটে ব্রিটিশ সরেনের বাড়িতে হামলা করে স্থানীয় রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তার পালিত ভূমিদস্যুরা। তাদের বেদম মারপিটে ব্রিটিশ সরেনের মা ফিলুমিনা হাসদাকে গুরুতর আহত হন। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাতেই চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ব্রিটিশ সরেনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনায় তার ভাই জুলিয়াস সরেন বাদি হয়ে রাজাহার ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ৬ জন ও অজ্ঞাত ২০/২৫ দুষ্কৃতিকারীর নামে মামলা করেন। রফিকুল চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেন। পরে পুলিশ তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। তারা বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছে। তারা জামিনে মুক্ত হয়ে সাঁওতালদের কৃষিতে সেচে বাধা প্রদানসহ দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি করছে।
বক্তারা আরো বলেন, রফিকুল চেয়ারম্যান এলাকার সাঁওতালদের একমাত্র সমাধিস্থল শক্তনেট দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রাজাবিরাটের নিরীহ সাঁওতালদের ভূমি ও জীবনের নিরাপত্তা দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমাধিস্থল ও দখলকৃত পুকুর পাড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন