সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত গণ অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন ও খুনী হাসিনা পালিয়ে গেলেও দোসররা এখনো সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গনে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসররা খোলস পাল্টিয়ে ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। ফ্যাসিবাদের পতনের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও সিলেটের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। তারা ফের হাসিনা রেজিমকে প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে। রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবের সুফল নিশ্চিত করতে পতিত স্বৈরাচারের উচ্ছিষ্টভোগী, খুনি হাসিনা কর্তৃক ছাত্র-জনতা হত্যাযজ্ঞকে সমর্থনকারী আওয়ামী দালালদের সাহিত্য সংস্কৃতি সামাজিক মিডিয়াসহ সকল প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারণ ও গ্রেফতারের বিকল্প নেই।’
তিনি শনিবার বিকেলে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সিলেটের সাহিত্য-সংস্কৃতি কর্মীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
পতিত ফ্যাসিবাদের দোসর, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যার প্রকাশ্য সমর্থনকারী আওয়ামী দালালদের সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ সকল প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবীতে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সাহিত্য ও সংস্কৃতিকর্মী সাজন আহমদ সাজুর সভাপতিত্বে ও যুব সংগঠক রাশেদুজ্জামান রাশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান সাদিক, জেলা বিএনপির তাতী সম্পাদক আব্দুল মালেক, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মঈনুল ইসলাম, বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান, ইমরান আহমদ, সিলেট জেলা জাসাসের সদস্য সচিব রায়হান হোসেন খান, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্ট অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন, কবি সাজ্জাদ আহমদ সাজু, কবি শফিকুল ইসলাম সোহাগ, ছড়াকার ছাদির হোসেন, আব্দুল কাদির জীবন, প্রকাশক জসিম উদ্দিন, গাঙচিল সাহিত্য পরিষদের সভাপতি জগলুল হক, সাধারণ সম্পাদক শিব্বির আহমদ, কবি সুয়েজ আহমদ, যুব সংগঠক সাঈদ মাহমুদ ওয়াদুদ, আলোর অন্বেষণের সহ সভাপতি নাহিদ হোসেন, সংস্কৃতি সংগঠক আল আমিন, সমাজকর্মী রাশেদ খান রাশেদ, মানবিক সোহেল, আসলাম মিয়া, রবিউল ইসলাম, ইব্রাহীম আহমদ ও ইকবাল আহমদ প্রমূখ।
মানববন্ধনে সিলেটে সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সামাজিক অঙ্গনের বিপুল সংখ্যক কর্মী অংশ নেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন