এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ১২ তম দিন এবং প্রতীকী অনশনের ৩য় দিন


জিবি নিউজ প্রতিনিধি//

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ১২ তম দিন এবং প্রতীকী অনশনের ৩য় দিন

পরবর্তী কর্মসূচিঃ

সোমবার প্রতীকী অনশনের পাশাপাশি ১২.৩০ মিনিটে বিক্ষোভ মিছিল এবং আগামী মঙ্গলবার প্রতীকী অনশনের পাশাপাশি ১২.৩০ মিনিটে  মার্চ টু সেক্রেটারি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। মার্চ টু সেক্রেটারিয়েট কর্মসূচিতে শিক্ষক—কর্মচারীরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন।

 

এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনসহ জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক—কর্মচারীদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ১২ তম দিনে এবং প্রতীকী অনশনের ৩য় দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত শিক্ষক—কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষক—কর্মচারীগণ সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও সর্বজনীন (প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে কর্মচারী পর্যন্ত) বদলীর দাবি জানান। জোটের সদস্য সচিব প্রিন্সিপাল দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের ভাতাসমূহ পরিবর্তনের মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক—কর্মচারিগণ বারবার প্রতারিত হয়ে আশ্বাসের উপর বিশ্বাস করে আবারও প্রতারিত হতে চায় না। সরকারে আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে বৈকঠ করেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শতভাগ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির জোর দাবি জানান। বাড়িভাড়া এবং মেডিকেল ভাতা বৃদ্ধির সুস্পষ্ট ঘোষণা দাবি করেন। এ সময় সচিব বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত পরে জানানোর কথা বলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। আজ ১২ তম দিনে শিক্ষকরা ৩য় দিনের মতো প্রতীকী অনশন পালন করেছেন।

আগামীকাল সোমবার প্রতীকী অনশনের পাশাপাশি ১২.৩০ মিনিটে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মঙ্গলবার প্রতীকী অনশনের পাশাপাশি ১২.৩০ মিনিটে  মার্চ টু সেক্রেটারিয়েট  কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। মার্চ টু সেক্রেটারিয়েট কর্মসূচিতে শিক্ষক—কর্মচারীরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন। উল্লেখ্য যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক—কর্মচারিগণ মাসিক ১০০০/— বাড়িভাড়া, ৫০০/— চিকিৎসা ভাতা ও ২৫% উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন যা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অমানবিক। ২৫% উৎসব ভাতা হিসেবে একজন এন্ট্রি লেভের শিক্ষক ৩১২৫ টাকা উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন যা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির এই বাজারে কোনোভাবেই একজন শিক্ষকের পক্ষে ঈদ উৎসব উদযাপন করা সম্ভব নয়। এই কর্মসূচির সাথে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও স্বার্থ জড়িত রয়েছে। কারণ বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে ১ জন শিক্ষার্থীকে মাসে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০/ টাকা পর্যন্ত বেতন দিতে হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষার্থীরা ১০ থেকে ১৫ টাকা মাসিক বেতনে পড়াশোনা করতে পারবে।

উপস্থিত সদস্যদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক, সমন্বয়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম, জোটের যুগ্ম সদস্য সচিব প্রকৌশলী আবুল বাশার, অধ্যক্ষ সৈয়দ এনামূল হক, আব্দুল হাই সিদ্দিকী, রবিউল ইসলাম, তোফায়েল সরকার, ফররুখ শেরাহ্, মো. কাইয়ুম, আফরোজা শ্রাবন, মোতাফিজুর রহমান নবিয়াবাদী, আব্দুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, মো. ইলিয়াস, মোঃ রুহুল আমিন, এস এম হাবিবুর রহমান, আঃ হালিম, ফয়েজ আহমদ, মোঃ রুহুল আমিন, রাশেদ মোশারফ, উপাধ্যক্ষ মোঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ কাইয়ুম, মোঃ মিজানুর রহমান, মো জিয়াউল, মুজিবুর রহমান, ফজলুল হক, অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, শহীদুল ইসলাম, আহসান হাবীব, হাবিবুর রহমান রাজু, মোঃ মিজানুর রহমান (সুনামগঞ্জ), মোঃ মিজানুর রহমান (নরসিংদী), সবুজ হাসান প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন