ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড়ে বড় লাফ দিয়েছে লিভারপুল। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-০ গোলের জিতেছে অলরেডরা। আগেই বলা হয়েছে, সিটির বিপক্ষে ম্যাচ লিভারপুলের শিরোপাও নির্ধারণ করে দিতে পারে। কেননা পয়েন্ট ব্যবধান বাড়াতে হলে চ্যালেঞ্জিং ম্যাচটি আর্নে স্লটের দলের জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার রাতে ম্যানসিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে গিয়ে চমক দেখিয়ে এসেছেন লিভারপুলের প্রাণভোমরা মোহাম্মাদ সালাহ। অলরেডদের হয়ে প্রথম গোল করেন এবং দ্বিতীয় গোলে ডমিনিক সোবোস্লাইকে সহায়তা করেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড।
২৭ ম্যাচ থেকে ৬৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ধরাছোয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে লিভারপুল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে অলরেডরা। যদিও আর্সেনাল একটি ম্যাচ কম খেলেছে।
সিটি ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে। মৌসুমের শুরুতে বাজে পারফর্ম করায় টানা পঞ্চমবারের মতো লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে তাদের। এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্থান নিশ্চিত করার জন্য লড়াই করছে পেপ গার্দিওলার দল।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করেন সালাহ। বক্সের প্রান্ত থেকে তার শক্তিশালী শট সিটি ডিফেন্ডার নাথান আকের বাড়ানো পায়ে লেগে গোলরক্ষক এডারসনের পাশ দিয়ে জালে প্রবেশ করে। চলতি মৌসুমে এটি সালাহর ২৫তম গোল। প্রিমিয়ার লিগে গোলদাতাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
সোবোস্লাই সিটির বাজে রক্ষণের সুযোগ নিয়ে ৩৭ মিনিটে লিভারপুলের লিড দ্বিগুণ করেন। হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডারকে সহজ পাস দেন সালাহ। লিভারপুল ২-০ তে এগিয়ে গেলে হতাশ সিটি সমর্থকদের মনোবল মুষড়ে পড়ে, যা প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে মিলিয়ে যায়।
হাজারো সমর্থক খেলা শেষ হওয়ার আগেই স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান। লিভারপুল সমর্থকরা আনন্দের সঙ্গে গলা ফাটিয়ে গাইতে থাকেন, ‘আমরা লিগ জিততে যাচ্ছি।’
৩২ বছর বয়সী সালাহ এই মৌসুমে ১১টি লিগ ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন। যা ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ইতিহাসে একক মৌসুমে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্সেলোনার জার্সিতে এই কীর্তি করেছিলেন লিওনেল মেসি।
হালান্ড হাঁটুর চোটের কারণে দলে না থাকলেও সিটি বেশিরভাগ সময় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখে। ৬৬ শতাংশ বলের দখল ছিল তাদের। লিভারপুলের দখল ছিল মাত্র ৩৪ শতাংশ।
চলতি মৌসুমের এটি লিভারপুলের সবচেয়ে কম বল দখলের রেকর্ড। এছাড়া গত ২০ বছরে যেকোনো জয়ে সবচেয়ে কম বল দখলের হার। সিটি লক্ষ্যে পাঁচটি শট করে। যেখানে লিভারপুল নেয় চারটি।
সিটিও এ ম্যাচে লিভারপুলের জাল খুঁজে বের করেছিল। এক সপ্তাহ আগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জয়ের ম্যাচে সিটির জার্সিতে প্রথম হ্যাটট্রিক করা ওমর মারমুশ লিভারপুলের জালে বল ফেলেছিলেন। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে কার্টিস জোন্স লিভারপুল সমর্থকদের উল্লাসে মাতিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু ভিএআরে অফসাইড ধরা পড়ায় এই গোলটি বাতিল হয়।
২০১৫-১৬ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো সিটিকে ঘরে এবং বাইরে উভয় লেগে হারালো লিভারপুল।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন