‘২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্রাজেডি দিবসকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় গ্যাজেট প্রকাশ করায় ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধিন সরকারের প্রতি অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ'র শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেন, পিলখানা ট্রাজেডির 'ঘটনার পেছনের রহস্য' উদঘাটন করতে গঠিত কমিশনকে দ্রুততম সময়ে তাদের রিপোর্ট জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। দেশ ও জাতির স্বার্থেই বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্য রহস্য জাতির জানার প্রয়োজন। সেই সাথে সেনা হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) '২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্রাজেডির ১৬ বছর' উপলক্ষে গুমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে সামান্য সংখ্যক প্রাচীন অস্ত্র নিয়ে তৎকালীন ইপিআর বাহিনী এক অসামান্য ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছিল। সেই বাহিনীকে যারা বিতর্কিত করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান সরকার সেই কাজটি পরিপূর্ণ করতে পারবেন বলে জনগন আশা করে। মনে রাখতে হবে, শহীদ সেনা অফিসাররা সকলেই ছিলেন জাতির সম্পদ। তাদের অভাব পূরন করা খুবই কঠিন কাজ। বাংলার মাটিতে হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদের ক্ষমা নাই, যত শক্তিধর হোক না কেন তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই হবে। ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের এদেশের দোসররা বাংলাদেশের পতাকা-মানচিত্র ধ্বংস করতে প্রথমেই আঘাত করেছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে।’
তারা ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করায় জাতির দাবীর একাংশ পূরন করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে আরো বলেন, ‘জাতি এই ধরনের সিদ্ধান্তই প্রত্যাশা করছে দীর্ঘ সময় যাবত। এই সরকারের কাছে এই ধরনের সিদ্ধান্তই প্রত্যাশা করে জাতি। ট্রাজিডির ১৬ বছর পর শোক দিবস ঘোষণা করে সরকার জনমনে সৃষ্ট নানা প্রশ্ন এবং ক্ষোভ সঞ্চিত হয়েছিল তা কিছুটা লাঘব করতে সক্ষম হয়েছে।’
বিডিআর বিদ্রোহকে দেশবিরোধী বিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে নেতৃদ্বয় বলেন, ‘বিদ্রোহের রহস্য উদঘাটনে গঠিত কমিশনের তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দ্রæততম সময়ে জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাল ক্ষেপনের কোন সুযোগ নাই। এই রিপোর্ট প্রকাশ হলেই সবকিছু ছাপিয়ে সকল রহস্যের জট খুলবে। পিলখানা ট্র্যাজেডি কি শুধুই বিদ্রোহ না কি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ? দেশীয় ষড়যন্ত্র না কি আন্তর্জাতিক? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দ্রুত তদন্ত কাজ শেষ করতে হবে স্বাধীন তদন্ত কমিশনকে।’
তারা বলেন, ‘এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহজন পলাতক পতিত ফ্যাসীবাদী সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দ্রæত দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনতে হবে সরকারকে। একই সাথে পিলখানার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত জেলে থাকা বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তি এবং অন্যায় ভাবে যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে পুর্নবহাল করতে হবে। যারা অন্যায় ভাবে কারাগারে আটক রয়েছে তাদের সবাইকে জামিন দিতে হবে। বিডিআর বিদ্রোহের সেই ঘটনায় তদন্ত কমিশনকে স্বচ্ছতার সহিত কাজ করতে হবে। সেখানে যে বির্তকিত ধারাটি রয়েছে তা বাতিল করতে হবে।’

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন