ইউক্রেন ও রেড ক্রসের সঙ্গে রাশিয়া একটি চুক্তি করেছে, যাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত কুরস্ক অঞ্চলের বাসিন্দাদের উদ্ধার করা যায়। অঞ্চলটির কিছু অংশ ইউক্রেন দখল করেছে। রাশিয়ার মানবাধিকার কমিশনার সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
৬ মাস আগে কিয়েভ রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে হঠাৎ সীমান্ত অতিক্রম করে আক্রমণ শুরু করে, যার ফলে বহু গ্রাম দখল হয়ে যায় এবং অনেক রুশ নাগরিক যুদ্ধক্ষেত্রের বিপরীতে আটকা পড়ে।
রাশিয়ার মানবাধিকার কমিশনার তাতিয়ানা মোস্কালকোভা জানিয়েছেন, কিছু বাসিন্দা এখন ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে চলে গেছে এবং তারা বেলারুশের মাধ্যমে রাশিয়ায় পাড়ি দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
রাশিয়ার রিয়া বার্তা সংস্থা মোস্কালকোভার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ‘আজ সুমি অঞ্চলে কিছু মানুষ রয়েছে এবং তাদের বেলারুশের মাধ্যমে রাশিয়ায় উদ্ধার করার জন্য রেড ক্রস ও ইউক্রেনীয় পক্ষের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে।’
তবে মোস্কালকোভা জানানি, কুরস্ক অঞ্চলের কতজন বাসিন্দাকে এই চুক্তির আওতায় উদ্ধার করা হবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) এক মুখপাত্র বলেন, তারা সুমি অঞ্চলে উদ্ধার হওয়া নাগরিকদের সহায়তা করছে, তবে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
ইউক্রেনভিত্তিক মুখপাত্র প্যাট গ্রিফিথস বলেছেন, ‘এ ধরনের প্রত্যাবর্তন অপারেশনগুলোতে সিদ্ধান্তগুলো সরাসরি পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা হওয়া দরকার। যদি উভয় পক্ষ এসব বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছয়, তবে আমরা সেই নাগরিকদের নিরাপদ ও সম্মানজনকভাবে রাশিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
রাশিয়ার কর্তৃপক্ষের প্রস্তুত করা নিখোঁজদের একটি সরকারি তালিকায় প্রথমে কেবল ৫০০ জনের মতো মানুষ অনুপস্থিত ছিল, তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই সংখ্যা প্রায় তিন হাজার।
ইউক্রেন জানায়, তাদের হাজার হাজার নাগরিক মস্কোর আক্রমণ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলে আটকা পড়েছে এবং কুরস্ক অঞ্চলের রুশ নাগরিকরা নিরাপদ পথ পাচ্ছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন