অপরাধ দমনে সাহসী সিদ্ধান্তের সময় এখন

ছিনতাইকারীর বিপক্ষে মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে ছাড় দিলেও ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি প্রকাশ্যে ফাঁসি

রাজু আহমেদ,  প্রাবন্ধিক। |

শুনতে খারাপ শোনালেও, মানতে কঠিন মনে হলেও এই ছিনতাই, এমন বীভৎস ধর্ষণ বন্ধ করার আপাতত চিকিৎসা- কয়েকজনকে চিহ্নিত করে অকল্পনীয় কঠোর শাস্তি দিতে হবে এবং সেটা ফলাও করে প্রচার করা! এসব শুনে আমাকে পাষাণ মনে হচ্ছে? ছিনতাইকারীর গুলিতে যারা মারা যাচ্ছে তাদের প্রতি দয়া হয় না? নিরপরাধ মানুষের পক্ষ নেওয়া জরুরি। মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া আরও বেশি জরুরি। 

আইন-শৃঙ্খলার যে অবনতি তাতে জনজীবন অতিষ্ঠ। কোথাও নিরাপত্তা নাই। না মানুষের, না যারা মানুষের নিরাপত্তা দেয় তাদের। এই ছিনতাই, এই ধর্ষণ এবং এই অরাজকতা বড় কোনো স্ক্যামের অংশ। এসব শত্রুরা করছে নাকি বন্ধুরা করছে- তা নির্ধারণের সময় নাই। ছিনতাইকারীকে কঠোরতর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে জননিরাপত্তাকে স্বাভাবিক করতে হবে।

নারীর নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি। পুরুষের পথচলাও অনিরাপদ। ঘরে বসে থাকাও সমাধান নয়। এভাবে চলতে পারে না, চলতে দেওয়া উচিত নয়। রুখে দাঁড়াতে হবে। যেখানে দুর্বৃত্তায়ন মিলবে সেখানেই দমন করতে হবে। পুলিশের নির্ঘুম রাত কাটছে, প্রশাসনে অস্বস্তি এবং সরকারও বিব্রত। জনতাকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। 

লুটপাটকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া মানে তাদেরকে মেরে ফেলা নয়! কুচিন্তাকে পঙ্গু করে দেওয়া। প্রয়োজনে রাষ্ট্র বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবে তবুও এদেরকে দমাতে হবে। এই সময়ে ছিনতাই-ডাকাতি কেউ ক্ষুধার টানে করে না। এখানে ক্ষমতার গন্ধ আছে! কারো ইন্ধন আছে- আলামত বলছে। নয়তো হঠাৎ এদের এতো দৌরাত্ম্য বাড়ার যুক্তি নাই। এদেরকে থামাতে না পারলে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে সমাজের। বিপন্নতায় ডুবে যাবে মানুষের ভরসা। বাঁচা দায় হয়ে দাঁড়াবে। 

কয়েকটি ঘটনাকে দমন করতে পারলে, কয়েকজনকে উচিত শিক্ষা দিতে পারলে এবং সেটার ফলাও প্রচার হলে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। আপাতত ডাণ্ডার বিকল্প নাই। সবাইকে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মাত্র দুয়েকটা ঘটনা রুখে দিন। তবেই সব দুর্ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে! 

ছিনতাইকারীর বিপক্ষে মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে ছাড় দিলেও ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি প্রকাশ্যে ফাঁসি। জেলের অভ্যন্তরে শাস্তি স্বরূপ কিছু ফাঁসি যে হয় না- তা তো না। সেই ফাঁসিগুলো প্রকাশ্যে আয়োজন করুন। দুই পাঁচটা কার্যকর করুন, লাইভ দেখান- এই জাতীয় অপরাধ প্রায় নির্মূল হয়ে আসবে। নারীকে নিরাপত্তা দেওয়া খুব জরুরি। নারী যে আমার মা, বোন, স্ত্রী কিংবা কন্যা। একটু শক্ত না হলে দেশটা বাস অযোগ্য হয়ে উঠবে। যেখানে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নাই সেখানে মানুষ বাস করতে পারে না! 

সবকিছুই কি অমানুষদের গ্রিপে যাবে? থামান এবং থামুন। এটা মানুষের সমাজ। মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বলা হয়! মানুষ কি সেসব ভুলে গেছে?

 

 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন