পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হচ্ছে তা প্রথম দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, শনিবার (১ মার্চ) রমজানের প্রথম দিন। তাই ২৮ ফেব্রুয়ারি হতে যাচ্ছে সাবান মাসের শেষ দিন।
অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ড. ইব্রাহিম আবু মোহাম্মদ অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল, ফেডারেল কাউন্সিল অব ইমামস এবং ফতোয়া ও শরিয়াহ আরবিট্রেশন কাউন্সিলের সঙ্গে সমন্বয় করে এই ঘোষণা দেন।
ভৌগোলিক অবস্থান ও টাইম জোন সুবিধার কারণে অস্ট্রেলিয়া রমজান শুরুর ঘোষণাকারী প্রথম দেশগুলো মধ্যে একটি।
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ রমজানের চাঁদ দেখা শুরু হবে। পবিত্র নগরী মক্কায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে চাঁদ দেখার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
রমজানে রোজা ও ইবাদতে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। আল্লাহ গুনাহ মাফ করে দেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজান মাসে সিয়াম পালন করবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজানের রাত নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় লায়লাতুল কদর ইবাদাতে কাটাবে তারও আগের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
রমজান মাসে যে কোনো ইবাদতের সওয়াবই বহুগুণ বেড়ে যায়। রমজানের প্রত্যেকটি নফল ইবাদতের সওয়াব ফরজ ইবাদতের সমান। প্রতিটি ফরজ ইবাদতের সওয়াব হয় সত্তরটি ফরজ ইবাদতের সমান। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘পবিত্র রমজনের একটি রাত বরকত ও ফজিলতের দিক থেকে হাজার মাস থেকেও উত্তম। এ মাসের রোজাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করেছেন এবং এর রাতগুলোয় আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোকে নফল ইবাদত রূপে নির্দিষ্ট করেছেন। যে ব্যক্তি রমাযানের রাতে ফরজ ইবাদত ছাড়া সুন্নত বা নফল ইবাদত করবে, তাকে এর বিনিময়ে অন্যান্য সময়ের ফরজ ইবাদতের সমান সওয়াব প্রদান করা হবে। আর যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো ফরজ আদায় করবে, সে অন্যান্য সময়ের ৭০টি ফরজ ইবাদতের সমান পুণ্য লাভ করবে।’ (বায়হাকি)
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন