ধর্ষণ রুখতে কঠোর শাস্তি ছাড়া বিকল্প নেই

gbn

ধর্ষণ থামানোর উপায় কী? ওয়াজ-নসিহতে ধর্ষণ থামবে? শতভাগ নিশ্চিত থাকুন, কোনো সাধু কথায় ধর্ষকের  মানসিক বিকার সারবে না।

রাজু আহমেদ 

সাধারণ কামবোধ থেকে ধর্ষণ হয় না। যারা ধর্ষক তারা বিকারগ্রস্ত। মানসিকভাবে সর্বোচ্চ স্তরের অসুস্থ। বোনের শ্বশুরবাড়িতে বোন বেড়াতে যাবে- এটা আবহমান বাংলার চিরাচরিত রেওয়াজ। সরকারের নিশ্চয়ই ঘর পাহারা দিয়ে ধর্ষণ আটকানোর ক্ষমতা নাই। ধর্ষণের জন্য সমস্ত পুরুষকে দায়ী করলেও বাড়াবাড়ি হবে। ধর্ষণের বিরুদ্ধেও সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুরুষ।

 

ধর্ষণ থামানোর উপায় কী? ওয়াজ-নসিহতে ধর্ষণ থামবে? শতভাগ নিশ্চিত থাকুন, কোনো সাধু কথায় ধর্ষকের  মানসিক বিকার সারবে না। আল্লাহ-ভগবান, কোরআন-পুরাণ- কোনোকিছুর ভয়ডর দেখিয়ে ধর্ষককে থামানো যাবে না। স্ত্রী আছে তারপরেও ধর্ষণের রিপু মাথায় থাকে- এদেরকে সুস্থ ভাবলে আপনি অসুস্থ। 

ধর্ষণ তো থামাতে হবে। ফায়ারিং স্কোয়াড, ক্রসফায়ার, ফাঁসি- সবচেয়ে ভালো প্রতিকার। শিশ্ন কেটে বাদ দেওয়া মাঝামাঝি শাস্তি। খান তিনেক ইট বেঁধে মাইল দশেক হাঁটানো সবচেয়ে ছোট শাস্তি। এর কোনো বিকল্প নাই। নারীর নিরাপত্তা চাইবেন আবার ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কোমলতা প্রদর্শন করবেন- কাজের কাজ কিছুই হবে না। আমার বোন, আপনার মেয়ে কিংবা আমাদের মা- এই সমাজের কেউ নিরাপদ থাকবে না।

 

আপনি/আমি কেউ বিকারগ্রস্ত ধর্ষক মনোভাবাপন্নকে চিনি না। ২ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৮২ বছরের বৃদ্ধা- ধর্ষকের কবল থেকে কেউ নিরাপদ নন। উপরোল্লিখিত শাস্তি মাত্র পাঁচজন ধর্ষকের ওপর প্রয়োগ করেন, সেটা প্রচার করেন- অনেকের বিকার ভালো হয়ে যাবে। আবারও বলছি, স্বাভাবিক সেক্সুয়াল মেন্টালিটি থেকে ধর্ষণ হয় না। কামবোধের সময়ও বিবেক জাগ্রত থাকে। কেবল বিকারগ্রস্তরাই ধর্ষণের দিকে ধাবিত হয়। কাজেই সমাজ থেকে অসুস্থদের নিরাময় জরুরি। শাস্তির ক্ষেত্রে সবসময় প্রতিরোধাত্মক রীতি নয় বরং মাঝে মাঝে প্রতিশোধাত্মক বিধান অনুসরণ করা জরুরি। ধর্ষকের শাস্তিতে ফাঁসিই একমাত্র বিকল্প। 

 

বাবা, ধর্ষণ করিস না- এই সাধু কথায় যদি ধর্ষক থেমে যেতো তবে ইসলামে ধর্ষণের শাস্তিতে রজমের(পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা) মত কঠিন বিধান প্রণয়ন করা লাগতো না। ধর্ষকদের মনে কাঁপন ধরিয়ে দিতে না পারলে কোনো নারী কোথাও নিরাপদ না। ধর্ষক ঘরে থাকে। সবার মাঝে ঘাপটি মেরে থাকে। দেশে একটা দুইটা ঘটনার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলে ধর্ষণের হার শূন্যমুখী হবে। যেখানে যেখানে ধর্ষণের শাস্তি তীব্র সেখানে সেখানে ধর্ষণের সংখ্যা নাই বললেই চলে। আমাদের এখানে ধর্ষকদের এতো উৎপাত কেন? বিচারহীনতার সংস্কৃতি। আইনের ফাঁকফোকর এবং দীর্ঘ প্রসিডিওর! মানইজ্জতের ভয়ে চেপে যাওয়ার সংস্কৃতিও ধর্ষকদেরকে লাগামহীন করেছে। এতো কিছুর দরকার নাইতো! ধর্ষক চিহ্নিত হবে, পাকড়াও হবে এবং খালাস(ফাঁসি) হবে। কারো ইচ্ছা হলে ইন্না লিল্লাহ পড়বে। তবে...

 

 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন