ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের মোরেনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর কয়েকদিন পর এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তার মেয়েরা তাকে নির্মমভাবে মারধর করছে ও স্ত্রী তাকে ধরে রেখেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি হরেন্দ্র মৌর্যর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ও এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড তা তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
হরেন্দ্র মৌর্য একজন ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের দাবি, তিনি প্রায়ই তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতেন।
চলতি বছরের ১ মার্চ তিনি তার দুই মেয়েকে বিয়ে দেন। তবে, মেয়েদের বিয়ের পরপরই হরেন্দ্রর স্ত্রী তাকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ার কথা জানান। এতে হতাশ হয়ে হরেন্দ্র নিজেকে একটি ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেন। পরে, পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে বের করে ঝুলন্ত অবস্থায় পান এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, পারিবারিক কলহের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন হরেন্দ্র। অন্যদিকে, তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অভিযোগ তুলেছেন যে, হরেন্দ্রর বাবা ও ভাই মিলে তাকে হত্যা করেছেন।
এদিকে, এই বিতর্কের মধ্যেই একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে- হরেন্দ্রর স্ত্রী তার পা ধরে রেখেছেন ও আর তার মেয়েরা তাকে লাঠি দিয়ে মারছেন। তিনি যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন। তার ছোট ছেলে বোনদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, এক মেয়ে ভাইকেও মারধরের হুমকি দেন।
জানা গেছে, ভিডিওটি ১ ফেব্রুয়ারির ও এটি সামনে আসার পর ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ন্যায়বিচারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন অনেকে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা দীপালি চন্দোরিয়া জানিয়েছেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তাছাড়া ভিডিওটিও আমাদের নজরে এসেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে ও তার পরপরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিবি নিউজ প্রতিনিধি//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন