প্রথম ম্যাচে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার মাঠ থেকে ১-০ গোলে জয় নিয়ে ফিরেছিলো বার্সেলোনা। ফিরতি লেগের ম্যাচে ঘরের মাঠে বেনফিকাকে স্বাগত জানায় বার্সা। কিন্তু বলা যায় খুব নির্মমভাবে। কারণ, বেনফিকাকে তারা হারিয়েছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। দুই লেগ মিলে ৪-১ গোলের সহজ জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে বার্সেলোনা।
বেনফিকার বিপক্ষে মঙ্গলবার রাতে বার্সার ম্যাচটি ছিল পুরো লামিনে ইয়ামালময়। পুরো ম্যাচেই বলা যায় তিনি ছিলেন ‘আনপ্লেয়েবল’। তাকে থামানোর কোনো কৌশলই কাজে লাগেনি বেনফিকার। বিশেষ করে ডানপ্রান্তে বেনফিকার রাইটব্যাক স্যামুয়েল দাহল তার সামনে এক কথায় অসহায় হয়ে পড়েছিল।
বার্সার হয়ে অনেকগুলো গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন ১৭ বছর বয়সী এই তারকা। প্রায় সবগুলোই। এর মধ্যে একটি গোল নিজে করেছেন ইয়ামাল। অন্য দুটি করিয়েছেন ব্রাজিল তারকা রাফিনহাকে দিয়ে।
কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনা মুখোমুখি হবে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কিংবা ফরাসী ক্লাব লিলের। বরুশিয়ার মাঠে প্রথম পর্বের ম্যাচে বরুশিয়া-লিলে ১-১ গোলে সমতায় শেষ করেছিলো। আজ ফিরতি লেগে যে জিতবে, তারাই পড়বে বার্সার সামনে।
ম্যাচের ১১তম মিনিটে বলা যায় এককভাবেই বল নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন ইয়ামাল। পোস্টের সামনে গিয়ে শুধু রাফিনহার পায়ে বলটা ঠেলে দিয়েছিলেন গোল করার জন্য। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা।
২ মিনিট পরই সমতায় ফেরে বেনফিকা। কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে দুর্দান্ত এক হেড করেন আর্জেন্টাইন তারকা নিকলাস ওতামেন্দি। সেটিই জড়িয়ে যায় বার্সার জালে।
এরপর থেকে বেনফিকার ডিফেন্সে একের পর এক চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন ইয়ামাল। স্যামুয়েল দাহল কোনোভাবেই আটকাতে পারছিলেন না ইয়ামালকে। রবার্ট লেওয়ানডস্কি এবং দানি ওলমোকে গোল করানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে লেওয়ানডস্কি আর ওলমো গোল করতে ব্যর্থ হন।
২৭তম মিনিটে নিজেই গোল করে বসেন ইয়ামাল। বল নিয়ে ভেতরে ঢোকার মুখে তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্যামুয়েল দাহল। তাকে কাটিয়ে বক্সে গিয়ে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে জড়িয়ে দেন বেনফিকার জালে। ১৭ বছর ২৪১ দিন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একই ম্যাচে গোল করা এবং অ্যাসিস্ট করা সর্বকনিষ্ট ফুটবলার এখন ইয়ামাল। এর আগে ২০১৪ সালে বাসেলের হয়ে ব্রিল এমবোলো এ রেকর্ড গড়েছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ইয়ামালের চেয়ে ২২দিন বেশি।
ম্যাচের ৪২তম মিনিটে নিজের জোড়া এবং বার্সার হয়ে তৃতীয় গোল করেন রাফিনহা। এ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবার ১১ গোল করে ফেলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্রাজিল ফুটবলারদের মধ্যে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল। এর আগে জারদেল, রিভালদো, কাকা, নেইমার এবং রবার্তো ফিরমিনো করেছিলেন সর্বোচ্চ ১০টি করে গোল।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন