মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘ভালো ও ফলপ্রসূ’ আলোচনা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, এই বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ’ সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে হওয়া এই বৈঠকের পর ক্রেমলিন জানিয়েছে, শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ‘সতর্ক আশাবাদ’-এর সঙ্গে একমত।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, পুতিন আলোচনার নামে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টার্মারও বলেছেন, পুতিন যেন যুদ্ধবিরতির নামে ‘খেলা’ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইউক্রেন গ্রহণ করলেও রাশিয়া এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এতে সম্মতি দেয়নি। পুতিন বলেছেন, এই ধারণাটি সঠিক এবং আমরা একে সমর্থন করি... তবে কিছু বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে আলোচনা দরকার।
জেলেনস্কি একে ‘চাতুর্যপূর্ণ’ প্রতিক্রিয়া বলে মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে তিনি বলেন, পুতিন এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না, কারণ তাতে তিনি সব হারাবেন। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, পুতিন কূটনীতি ব্যর্থ করতে চাইছেন এবং আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করছেন, যাতে তার বাহিনী মানুষ হত্যা অব্যাহত রাখতে পারে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, দুই পক্ষ এর আগে কখনোই শান্তির এতটা কাছাকাছি আসেনি। ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্প পুতিনের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন যাতে তিনি ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ নেন।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি পুতিনকে অনুরোধ করেছেন, যেন ইউক্রেনের সেনাদের জীবন রক্ষা করা হয়। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, যদি ইউক্রেনীয় সেনারা অস্ত্র সমর্পণ করে, তবে তাদের আন্তর্জাতিক ও রুশ আইনের ভিত্তিতে সম্মানজনক আচরণ দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই এবং কোনো নেতার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট বা সংবাদ সম্মেলনের ভিত্তিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন