ফেসবুক : বন্ধন না আসক্তি?  

gbn

দুঃখী যদি হন তবে আরও দুঃখ কী করে বাড়িয়ে তোলা যায় তার রসদ ফেসবুকের কাছে আছে

রাজু আহমেদ,  প্রাবন্ধিক।  |

আপনি হতাশ বা বিষাদগ্রস্ত? ফেসবুকের ওয়ালে আপনাকে আরও বিষণ্নতায় ডোবানোর লেখা, ছবি কিংবা ভিডিও হাজির করবে। সন্দেহ করছেন সঙ্গীকে? আপনাকে দেখাবে পরকীয়ার কনটেন্ট, আজগুবি কিচ্ছা কাহিনি। 

 

দুঃখী যদি হন তবে আরও দুঃখ কী করে বাড়িয়ে তোলা যায় তার রসদ ফেসবুকের কাছে আছে। এটা গুজবের মোটামুটি একটা বড় কারখানা! আপনার একাকিত্ব বাড়ানোতে ফেসবুক মহা ওস্তাদ। মোটকথা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষকে সবচেয়ে বেশি অসামাজিক বানায়! 

 

আচ্ছা, আপনি সুখী মানুষ? তাও আপনার সুখ বাড়াবে না। বরং কীরূপে অসুখ বাড়ানো যায় সেটার চেষ্টা চলবে। আপনাকে ভণ্ডামি শেখাবে। এখানে প্রোগ্রামিংগুলো এমনভাবে করা যাতে একবার আপনি ঢুকলে সহসা আর বের হতে পারবেন না। ত্রিশ সেকেন্ডের তৃপ্তি রেখে শয়তান আপনাকে বের হতে দেবে না!  আপনি ডুবে গেছেন, মজে গেছেন মানে আপনার মস্তিষ্ক শেষ। দরকারের সময় সহজ বিষয়ও মস্তিষ্ক হাজির করতে পারবে না। 

 

ফেসবুকে আপনার বন্ধুর জম্পেশ ছবি আপনাকে দুঃখী বানাবে! কারো চাকুরিতে, পদোন্নতিতে আপনাকে গোপন দুঃখ দেবে। কারো উন্নতির খবরে আপনার মন খারাপ করাবে। কারো ঘুরে বেড়ানো কিংবা দেখিয়ে বেড়ানো আপনার চোখকে শীতল করবে না বরং জেদ জমাবে! আফসোস করা মানে অন্যের দুঃখ নিজের মধ্যে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসা। আমরা রোজ ফেসবুকে এসব করে বেড়াই! 

 

ফেসবুকের এতো দোষ তারপরেও আপনি এবং আমি কেন এখানে থাকি? মদেরও কিছু ভালো গুণাগুণ আছে বৈকি! আমরা প্রায় প্রত্যেকেই কায়িক পরিশ্রম করি না। সময় কাটানোর বিকল্প কোনো উপায়ও নাই। মোটকথা ভালো কোনোকিছুর মধ্যে খুব কম থাকি! কাজেই আশ্রয় ফেসবুক। পরিবারকে সময় না দিয়েও ফেসবুকিং।  দায়িত্ব এড়িয়েও এখানেই! ঘুমের বারোটা বাজায়, চোখের ক্ষমতা কমায়, এমনকি শরীরকেও ঝাঁকিয়ে বেড়ায়! তারপরেও নেশা কাটে না।

 

 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন