দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের সাথে আপসকামিতা এবং ভ্রান্ত রাজনীতি বাংলাদেশের রাজনীতি যখন পথহারা তখন মওলানা ভাসানী আমাদের আলোকবর্তিকা মন্তব্য করে এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, মওলানা ভাসানী এদেশের মানুষের কাছে ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) পল্টনের জননেতা আনোয়ার জাহিদ মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের যেখানেই নিয়াতিত মানুষের সংগ্রাম সেখানেই মওলানা ভাসানী কন্ঠ ছিল উচ্চকিত। ফলে তিনি উপমহাদেশের গন্ডি ছারিয়ে আফ্রো-এশিয়া-লাতিন আমেরিকার নির্যাতিত ও স্বাধীনতাকামী মানুষের নেতা হয়ে উঠেছিলেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন আমাদের জাতীয় মুক্তির দিশারি। দেশ আজ দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের ক্ষত-বিক্ষত সেই সসময় ভাসানীর 'খামোশ' উচ্চারন বড়ই প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন, দেশে এক ধরনের সামাজিক নৈরাজ্য চলছে। অকার্যকর হয়ে পড়েছে সমগ্র সরকার ব্যবস্থা। সরকার ক্রমান্বয়ে রাজনৈতিক কতৃত্ব হারাতে বসেছে। এ অবস্থায় যে রাজনৈতিক শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরনে সকল দেশপ্রেমিক-প্রগতিশীল শক্তিকে নতুন করে চিন্তা করতে হবে, সংগঠিত হতে হবে।
তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় মওলানা ভাসানী আমাদের ঐক্যের প্রতীক হতে পারে। ভাসানী তার যুগের চেয়েও এগিয়ে ছিলেন। তিনি মানুষের অন্তরকে ধারন করতে পারতেন। স্বাধীনতার পর তিনি যে জাতীয় ঐক্যের সরকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন সেটি প্রতিষ্ঠা করতে পারলে দেশের ইতিহাস ভিন্ন হতো।
সভায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম. এ জলিল, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, এনডিপি'র যুগ্ম মহাসচিব হায়াত মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক আর কে রিপন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় অসুস্থ এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা'র সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন