বোর্ড গঠনেই সীমাবদ্ধ সিলেট ‘ওয়াসার’ কার্যক্রম

gbn

জিবি নিউজ প্রতিনিধি//

সিলেট মহানগরের পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে ২০২২ সালে গঠন করা হয় সিলেট ওয়াসা বোর্ড। তবে বোর্ড গঠনের তিন বছর পার হলেও এখনো শুরু হয়নি এর কোন কার্যক্রম। চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হলেও বয়স ও অসুস্থতা জনিত কারণে তিনিও নিষ্ক্রিয়। যার ফলে মহানগরে চাহিদার অর্ধেক পানিও সরবরাহ করতে পারছে না সিসিক। এতে মহানগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে সিলেটে পানি সরবরাহের সমস্যা সমাধান করতে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজন।


সিলেট সিটি করপোরেশনের পুরোনো ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতে সিটি কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ করছে। বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডে পানির সঞ্চালন লাইন এখনো স্থাপিত হয়নি। ২৪টি ওয়ার্ডে দৈনিক সাড়ে ৮ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে সিটি করপোরেশন পানি দিচ্ছে ৪ থেকে ৫ কোটি লিটার। এ ছাড়া সিটির ৪২টি ওয়ার্ডে দৈনিক পানির চাহিদা সাড়ে ১২ কোটি লিটার।

 

 


বর্তমানে সিলেট নগরীতে দুটি প্ল্যান্টের মাধ্যমে সুরমা নদীর পানি পরিশোধন করা হচ্ছে। এগুলো থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ লিটার এবং ৪৫টি গভীর নলকূপ থেকে প্রতিদিন আড়াই থেকে ৩ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু পুরানো যন্ত্রপাতির কারণে উৎপাদন কমে গেছে। এতে তীব্র পানির সংকটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মহানগরবাসীকে।


সাধারণ মানুষের অভিযোগ যেসব এলাকায় সিসিক পানি দিচ্ছে সেখানেও ঠিক মত পানি পাচ্ছেন না তারা। একদিন পানি আসলে আরেকদিন বন্ধ থাকে পানি সরবরাহ। এছাড়া অনেক সময় পানির সাথে আসছে ময়লা। কিন্তু মাসে মাসে পানির বিল থেকে ঠিকই আসছে।


সিসিকে পানির সমস্যা নিরসনে ২০২২ সালের ২ মার্চ গঠন করা হয় সিলেট ওয়াসা বোর্ড। নিয়োগ দেওয়া হয় চেয়ারম্যান। কিন্তু বয়স ও অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি নিষ্ক্রিয়।

 


সিলেট ওয়াসার চেয়ারম্যান এ কে এম হাফিজ জানান, আমাকে চেয়ারম্যান করার পরে মন্ত্রণালয়ের আমরা চাহিদা জানতে চায়। তখন কার্যালয়, জনবল নিয়োগ দিতে বলি। কিন্তু তিন বছেরেও স্থাপিত হয়নি কার্যালয়, নিয়োগ করা হয়নি জনবল। পরে আমার সাথে তাদের কোনো যোগাযোগ হয়নি, আমিও করিনি। এখন আমি অসুস্থ। এক দিন পরপর কিডনি ডায়ালাইসিস নিচ্ছি। ওয়াসার দায়িত্ব নেওয়ার মতো অবস্থাতে আমি নেই।


সিসিকের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, গত ১৭ বছর সিলেটের মানুষকে সব ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে আওয়ামী লীগ। মহানগরে পানির সংকট নিরসনে ২০১৬ সালে সিসিক ‘চেঙের খাল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ প্রকল্পের উদ্যোগ নিলেও ওয়াসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রকল্পটি আটকা পড়ে গেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিলেটের বিষয়ে উদাসীন।


সিলেট ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পান সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী।

 


এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যাবতীয় তথ্যের লিখিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হলেও কোন অগ্রগতি আসে নি।


দ্রুত ওয়াসার কার্যালয় স্থাপন ও লোকবল নিয়োগ না হলে সিলেটে পানি সংকট দূর করা সম্ভব হবে না বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
 

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন