জিবি নিউজ প্রতিনিধি//
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রাতে জেলা কার্যালয়ে সভায় বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সংঙ্গতিপূর্ণ ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা ঘোষণা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ। সর্বজনীন রেশনিং চালু। শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত ধর্মঘট করার অধিকার হরণের পাঁয়তারা বন্ধ। শ্রমআইন ও শ্রম বিধিমালার শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারা ও বিধিসমূহ বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন ও শ্রমবিধি প্রণয়ন। অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্রদানের দাবি জানানো হয়।
কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহ-সভাপতি মো. সোহেল মিয়া। জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তারেশ চন্দ্র দাশ, জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি গিয়াস মিয়া, চা-শ্রমিক সংঘ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরিনারায়ণ হাজরা, কমলগঞ্জ উপজেলা স’মিল শ্রমিক সংঘের সভাপতি মো. মোস্তাক মিয়া, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ জুড়ী আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আব্দুল করিম, জুড়ী উপজেলা ডেকোরেটার্স শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রবিরবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. জিলহজ্ব মিয়া, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহিন মিয়া, সদস্য মো. জসিমউদ্দিন ও নারী চা-শ্রমিক নেত্রী লক্ষীমণি বাক্তি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল্য বৃদ্ধি ঘটলেও শ্রমিক-কৃষক-জনগণের আয় বাড়েনি। এমনকি কাজ করেও অনেক ক্ষেত্রে ন্যায্য মজুরি ও বোনাস পায়নি অনেক শ্রমিক। গার্মেন্টস শ্রমিকরা বকেয়া মজুরি ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আন্দোলন করেও সমুদয় ন্যায্য পাওনা পায়নি।
সিলেট বিভাগের চা-শ্রমিকরা বিশেষ করে এনটিসি, দেউন্দি, বড়জান টি কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেও মাসের পর মাস ঠিকমতো মজুরি ও রেশন পাচ্ছে না। শ্রমিকরা বারবার সরকারের কাছে আবেদন-নিবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন