হাকিকুল ইসলাম খোকন,
নিউইয়র্ক টাইমস খবরটি দিয়েছে গত সোমবার। খবরে বলা হয়েছে, আমেরিকার বিভিন্ন এয়ারপোর্টে যারা ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটে অন্য দেশ থেকে আসছে যেমন পর্যটক, ভিজিটর বা আমেরিকার নেচারালাইজড সিটিজেন এবং গ্রিনকার্ডধারীরা তাদের র্যান্ডম চেক করা হচ্ছে। পৃথকভাবে তাদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। তাদের ব্যাগেজও সার্চ করা হচ্ছে। এছাড়াও যারা ক্যানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন আকাশ বা স্থলপথে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আমেরিকার সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ইউএস বর্ডারে কর্মরত কর্মকর্তারা যে কারো যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার বাতিল করতে পারেন। যেমন কেউ যদি টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় আসে, তাহলে তার সাথে কথা বলে তার এদেশে আসার উদ্দেশ্য শনাক্ত করতে পারে প্রশিক্ষিত কর্মকর্তারা। শনাক্ত করতে না পারলেও যদি সন্দেহ করে তাহলেও তার এন্ট্রি প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।
ইমিগ্রেশন এটর্নি মাইকেল ওয়াইল্ডস মেলানিয়া ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন লইয়ার ছিলেন। তিনি বলেন, এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ইমিগ্রান্টদের প্রবেশের ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স পলিসি’ গ্রহণ করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এমন কি নেচারালাইজড সিটিজেনরা আমেরিকায় প্রবেশকালে যদি ট্রাভেল ডকুমেন্ট ঠিকমত দেখাতে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রেও তাদের অন্যত্র নিয়ে গিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় তাদের লাগেজ, সেলফোন এবং ল্যাপটপ (সাথে থাকলে) সার্চ করা হচ্ছে। হয়ত সিটিজেন এবং গ্রিনকার্ডধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দিতে পারবে না, কিন্তু যদি সন্দেহজনক কোনো তথ্য পাওয়া যায় সেলফোন বা ল্যাপটপে তাহলে তাদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করতে পারে। যদিও অন্য কারো সেলফোন বা ল্যাপটপের তথ্য সার্চ করার জন্য ফেডারেল এজেন্টদের ওয়ারেন্ট প্রয়োজন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন