হাকিকুল ইসলাম খোকন,
“শিক্ষানুরাগী" শব্দের অর্থ হলো -শিক্ষার প্রতি অনুরাগ বা ভালোবাসা আছে এমন ব্যক্তি।
অর্থাৎ, যিনি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেন, জ্ঞানার্জনে আগ্রহী এবং শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখেন, তাকে "শিক্ষানুরাগী" বলা হয়।
তিনিই একজন প্রকৃত শিক্ষানুরাগী,যিনি গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে শিশুদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দিয়েছেন।
নিউইর্য়ক প্রবাসী
শিক্ষানুরাগী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী স্বপ্রনোদিত হয়ে ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রতিষ্ঠা করেন
-১) মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
২) আবদুল মতিন খসরু মহিলা ডিগ্রি কলেজ।
৩) আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়।
৪) মুমু- রোহান কিন্ডারগার্টেন।
উপরোল্লিখিত আলোচনা যদি শিক্ষানুরাগীর ক্ষেত্রে যথেষ্ট হয়ে থাকে বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়ায় মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরীই হবেন একজন প্রকৃত শিক্ষানুরাগী।
*সমাজ সেবক *
সমাজ সেবক শব্দের অর্থ হলো -যে ব্যক্তি স্বার্থহীনভাবে সমাজের উন্নতি ও মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেন। সমাজের দরিদ্র, অসহায় বা পিছিয়ে পড়া মানুষদের সাহায্য করা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ন্যায়বিচার বা সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালানো—এসবই একজন সমাজ সেবকের মূল কাজ।
সমাজ সেবকের বৈশিষ্ট্য:
নিঃস্বার্থতা : ব্যক্তিগত লাভের চেয়ে সমাজের মঙ্গলকে প্রাধান্য দেওয়া।
সেবা ও সহমর্মিতা : দুঃখ-কষ্টে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
দূরদর্শিতা: সমাজের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া।
ডাক্তার আতাউর রহমান জসিম যখন ব্রাহ্মণপাড়ায় ডায়াবেটিক হসপিটাল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে যখন উপযুক্ত জায়গা খুজছিলেন তখনই মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী নির্ধিদায় হসপিটাল প্রতিষ্ঠা করার জন্য কোটি কোটি টাকার জমি দান করে দিলেন। দানকৃত জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রাহ্মণপাড়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল। যেখানে আরেক গুণীজন ডা. আতাউর রহমান জসিমের নেতৃত্বে হাজার হাজার রোগি নামমাত্র মুল্যে সেবা পাচ্ছেন।
বুড়িচং -ব্রাহ্মণপাড়ায় সমাজ সেবার ক্ষেত্রে মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী অবদান কি যথেষ্ট নয়?
কলেজ পাড়ায় মসজিদ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার জন্য কোটি টাকার সম্পত্তি দান করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। শুধুমাত্র জমিদান করেই বসে থাকেন নাই। কলেজ পাড়া জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের কাজ সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। তার নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন আশেদা জোবেদা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা।
এগুলো কি ধর্মীয় ক্ষেত্রে তাঁর যে অবদান রয়েছে এটা কি বিরাট কিছু নয়? কিশোরীদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন " মিজানুর রহমান খান কিশোরী পাঠাগার।
গুণীজন"
শব্দটি বাংলায় ব্যবহৃত হয় *অপেক্ষাকৃত গুণসম্পন্ন, প্রতিভাবান বা জ্ঞানী ব্যক্তি* বোঝাতে। এটি এমন একজন মানুষকে নির্দেশ করে যিনি নিজের ক্ষেত্রে দক্ষতা, প্রজ্ঞা বা অসাধারণ অবদানের জন্য সম্মানিত।
গুণ (মহত্ত্ব/প্রতিভা) + জন (ব্যক্তি)** = গুণীজন।
- এটি সাধারণত *শিল্পী, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, শিক্ষক বা সমাজসেবী*—যেকোনো ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়।
সমার্থক শব্দ: প্রতিভাবান, পণ্ডিত, মনীষী, মহৎ ব্যক্তি ইত্যাদি।
গুণীজন বনাম শিক্ষানুরাগী/সমাজসেবক:
*শিক্ষানুরাগী*: শিক্ষার প্রতি অনুরাগী।
*সমাজসেবক*: সমাজকল্যাণে নিবেদিত।
*গুণীজন*: ব্যক্তির **ব্যক্তিগত গুণ বা প্রতিভা
মিলিয়ে দেখুনতো গুণীজনের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণে মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী গুণীজনদের মধ্যে অন্যতম কি না? দেশ ও প্রবাসের বাংলাদেশী মনে করে প্রতিটা উপজেলায় যদি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরীর মত একজন করে শিক্ষাণুরাগী,সমাজ সেবক এবং গুণীজনের জন্ম হতো বাংলাদেশের চেহারাই পাল্টে যেত।
আসুন, আমরা মোশাররফ চৌধুরীর মত গুণীজনদের সম্মান করি, তাদের দিয়ে সমাজের ভালো কাজে উৎসাহিত করি।
আমরা যারা শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক, সমাজপতি, রাজনৈতিক ব্যক্তি- আমাদের উচিত জাতির সামনে এসকল গুণিজনদের গুনন্বিত কাজগুলি উপস্থাপন করে গুণকীর্তন করা যাতে করে সমাজের ভালো কাজে তাঁরা আরও উৎসাহিত হয়।
পরিশেষে প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চায়,গুণীজনদের ভালোবাসুন,সম্মান করতে শিখুন। তাহলেই সমাজে শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক এবং গুণীজনের জন্ম হবে এবং অন্যান্যরাও অনুপ্রাণিত হবে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন