বিল সেচে মাছ শিকার : হাকালুকি হাওরের শতশত একর জমিতে বোরো আবাদে ভোগান্তি

gbn

 মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরের গরকুড়ি বিল সেচে মাছ শিকার করছে একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে, পানির অভাবে হাকালুকি হাওর পাড়ের শতশত একর জমিতে বোরো আবাদে ভোগান্তিতে পড়ছে অত্রাঞ্চলের কৃষকরা।

জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামেন কয়েকটি প্রভাবশালী মহল প্রতিবছর চাতলা, নাগুয়া, তুরইল ও গরকুড়িসহ বিভিন্ন বিল ইজারা (বন্দোবস্ত) এনে পানিতে মাছ শিকার করে আসত। পাশাপাশি এ মহলটি বিলগুলো সেচে পানি শুকিয়ে মাছ ধরত। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি।

ওই ইজারাদাররা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তৃপক্ষের নিকট হতে বিল ইজারা আনার সময় (বন্দোবস্তের) প্রয়োজনীয় ক্গজ পত্রাদিতে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল, ইজারাদার বিল হতে মাছ শিকার করতে পারবে। তবে, বিল সেচে মাছ ধরতে পারবেনা। কিন্তু ওই মহলটি তা তোয়াক্কা না করে বিল হতে মাছ শিকারের পাশাপাশি বিল সেচে মাছ ধরে নিয়ে যায়। কিছুদিন আগে চাতলা, নাগুয়া, ও তুরইল বিল সেচে প্রভাবশালী মহলটি মাছ শিকার করে নিয়ে গেছে।

 

এরই ধারাবাহিকতায়, বর্তমানে অন্য একটি মহল গরকুড়ি জলমহালটি ইজারা এনে পানিতে মাছ ধরার পাশাপাশি বিল সেচে মাছ শিকারের আনন্দে মেতে উঠেছে। তাতে চোখ লজ্জায় কিংবা মহলটির ভয়ে কৃষকদের কেহ তাতে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। কেহ কেহ তাতে বাধা প্রদান করলেও তাদের কোন বাধা কর্ণপাত না করে ওই মহলটি নির্বিচারে তাদের এহেন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান অত্রাঞ্চলের কৃষকরা। প্রতিবছর বিল সেচে মাছ ধরার ফলে, কৃষকরা পানির অভাবে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে অন্য উপায়ে বোরো জমিতে চাষ করতে বাধ্য হয়।

বিধায় তাদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়ে যায়। সরেজমিন গিয়ে তাদের সাথে কথা হলে, কৃষকদের অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে- সাংবাদিকদের জানান, আমরা তার প্রতিকার চাই। অন্যথায় আমরা ভবিষ্যতে বোরো জমি নিয়ে অনিশ্চিয়তায় পড়ে যাব।

জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, সরেজমিন গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেলে, ওই মহলটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন