জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সুরমান আলী (৪২) নামক ভাতিজার দায়ের আঘাতে ইসমাইল আলী (৬৫) গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বড় ধামাই গ্রামের ইসমাঈল আলীর বাড়িতে ঘটেছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মরহুম তৈয়ব আলীর পুত্র ইসমাঈল আলীর সাথে তার ভাতিজা ও ভাইয়েরা মৃত ইছবর আলীর পুত্র সুরমান আলীর বাড়ির পাশ্ববর্তী সাড়ে ১৯ শতক জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধী চলে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ওই দিন সুরমান আলী তার ভাই ও চাচাদের নিয়ে ইসমাঈল আলীর সীমানা ঘেষে ঘড় তৈরী করে। এক পর্যায়ে তারা ইসমাঈল আলীর সাড়ে ১৯ শতক জায়গার ভিতর ঢুকে ওই জায়গার ছোট-বড় গাছ গাছালী কর্তন করতে থাকে। খবর পেয়ে ইসমাঈল আলী তাতে বাধা দিতে চাইলে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কাজ চালিয়ে যায়।
এমনকি সুরমান আলীসহ সঙ্গরা বলতে থাকে ওই জায়গাতো আমরা রেকর্ড সূত্রে মালিক তোর কি আসে যায়। তখন তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদসহ বাধানোবাধ সূষ্টি হয়।
তার এক পর্যায়ে ভাতিজা সুরমান আলী একটি ধারালো দা দিয়ে ইসমাঈল আলীর মাথায় কুপ মাড়ে। তাতে তার মাথা কেটে জখম হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনা দেখে ইসমাঈল আলীর স্ত্রী আতারুন নেছা তাকে উদ্ধার করতে গেলে সুরমান এর সহযোগী জঈন উদ্দিন ও জহির আলী তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে।
তাতে তিনিও মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই সময় চারপাশের লোকজন এসে ইসমাঈল আলীসহ তার স্ত্রী কে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এখনো তারা সংখ্যামুক্ত নন। এ ব্যাপারে ওইদিন বিকেলে ইসমাইল আলী বাদী হয়ে সুরমান আলীকে প্রধান করে ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন, মৃত ইয়াকুব আলীর পুত্র জইর আলী, সবুর আলী, আলী হোসেন, মৃত ইছবর আলীর পুত্র জঈন উদ্দিন, শাহীন আহমদ, রইছ আলীর পুত্র মুসা আহমদ, জঈন উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, ও জহির আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম লিজা।
জুড়ী থানার ওসি মুরশেদুল আলম ভূইয়া এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন