জালালুর রহমান, জুড়ী (মৌলভীবাজার) মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার হাকালুকি হাওরাঞ্চলে ধান কাটার ধুম পড়েছে। চার দিকে এখন বিরাজ করছে পাকা ধানের ম ম ঘ্রাণ। ধান কাটা মাড়াই ও শুকানো ইত্যাদি নিয়ে হাকালুকি হাওরাঞ্চলের কৃষক -কিষাণীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জুড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ছয় হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে। তবে, আবাদ হয়েছে ছয় হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। হাকালুকি হাওয়ারাঞ্চলের গ্রামগুলো ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিপাত সময়াপযোগি হওয়ায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকেরা পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন। এবার অন্য বছরের তুলনায় শ্রমিকদের সংখ্যায় বেশী পাওয়া গেলেও তাদের দিয়ে চড়া মূল্যে ধান কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। বলা বাহুল্য, গত কয়েক বছর যাবত আধুনিকতার ছোঁয়া লাগার ফলে কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে স্বল্প সময়ে বেশী ধান কাটতে পারছেন বলে আনন্দে আত্নহারা কৃষকেরা। সরেজমিন গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা হলে, উপজেলার বেলাগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান, ইউসুফ নগর গ্রামের কামাল মিয়া, নয়াগ্রামের মোস্তফা মিয়া, শিমূলতলা গ্রামের তাজুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যাবে। তবে, আগাম বন্যার জন্য কৃষকেরা কিছুটা চিন্তিত।
এ ব্যাপারে জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম খান জানান, উপজেলায় বোরো আবাদের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়, তার চেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছয় হাজার ৯০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ছয় হাজার ১৫০ হেক্টর।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জুড়ীতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি অফিসের নিরলস প্রচারণার কারণে কৃষকেরা সময় মতো বালাইনাশক, সার এবং সেচ প্রদান করেছে। কালবৈশাখী ঝড় - শিলাবৃষ্টি এগুলো ছিল না। ফলে কৃষকের ধানের কোন ক্ষতি হয় নাই।
ছবি সংযুক্তঃ হাকালুকি হাওরাঞ্চলে বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরা।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন