ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রয়াত ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের (৮৮) শেষকৃত্য আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। তাকে শেষবার সম্মান জানাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ বিশ্বনেতারা ভ্যাটিকানে উপস্থিত থাকবেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেখানে পৌঁছে গেছেন।
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জার সামনের চত্বরে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য হবে, যেখানে বিপুল জনসমাগমের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ফ্রান্সিসের মরদেহ তার ইচ্ছা অনুযায়ী, কাঠ ও দস্তার তৈরি কফিনে করে চার্চের ভেতরে নেওয়া হবে। সেখান থেকে দাফনের জন্য রোমের সান্তা মারিয়া ম্যাগিওর গির্জায় নেওয়া হবে মরদেহ।
ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও রাজপরিবারের সদস্যরা অংশ নেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার বিষয়টি সর্বপ্রথম নিশ্চিত করেন।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন, বিদায়ি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও শেষকৃত্যে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ব্রিটেনের যুবরাজ উইলিয়াম এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কাতার থেকে ইতালি গেছেন। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি রোমে পৌঁছে।
এরপর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপের কফিনে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
ভ্যাটিকানের তরফ থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য আজ শনিবার ৮টায় জিএমটিতে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা) অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, কলেজ অব কার্ডিনালের ডিন কার্ডিনাল জিওভান্নি ব্যাতিস্তা মাস বা গণপ্রার্থনার পৌরোহিত্য করবেন। সেই প্রার্থনায় হাজির থাকবেন গোটা বিশ্বের বৃদ্ধ সন্ন্যাসী, কার্ডিনাল, আর্চবিশপ, বিশপ ও ফাদাররা। তার পরই শুরু হবে প্রয়াত পোপের আত্মার শান্তি কামনায় ৯ দিনের শোক পালন।
রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রথম লাতিন আমেরিকান নেতা পোপ ফ্রান্সিস গত সোমবার মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মারা যান। এর আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ফেরার এক মাসের মধ্যে তার মৃত্যু হলো।
এদিকে পরবর্তী পোপ নির্বাচনের জন্য গত মঙ্গলবার ধর্মগুরুদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী পোপ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৩ সালে তত্কালীন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের পদত্যাগের পর দায়িত্ব নেওয়া পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি পুরো বিশ্ব থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। বাংলাদেশও তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন