সিলেটে আওয়ামী লীগ-বিএনপির কোন্দল প্রকাশ্যে

gbn

  জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

সিলেটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে সিলেটে আওয়ামী লীগ পৃথক শোডাউন করেছে। এতে মহানগর আওয়ামী লীগের মাঠের রাজনীতিতে স্পষ্ট হয়েছে বিভক্তি। অন্যদিকে নতুন করে কোন্দল দেখা দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপিতে। বর্তমান কমিটির ৯ সদস্য আহ্বায়ক সহ অপর সদস্যদের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন বর্তমান কমিটির কর্মকাণ্ডও।

সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি এক বছরেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। ২০১৯ সালের ৫ই ডিসেম্বর আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে সম্মেলনে জেলা ও মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত চারজন দিয়েই দুটি কমিটি এক বছর পূর্ণ করেছে। তবে, এরই মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তালিকা পাঠানো হলেও এখনো সেটি অনুমোদন হয়ে সিলেটে আসেনি। নানা অভিযোগ উঠায় কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ প্রস্তাবিত তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে নেমেছেন। এই অবস্থায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের মাঠের রাজনীতিতে স্পষ্ট হয়েছে বিভক্তি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সিলেটে আওয়ামী লীগ বিশাল শোডাউন করেছে।

 

জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ একত্রিত হয়ে নগরীতে এই শোডাউন করে। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল। ওদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে কর্মীরা ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে আলাদা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। পরে তারা গণমাধ্যমের কাছে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানান দিয়েছেন। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক এডিশনাল পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম।

শামসুল ইসলাম বলেন, ‘মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে আমরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করেছি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।’ রোববার দুপুরে আলাদা ব্যানারের বিক্ষোভ মিছিলটি সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট শামসুল ইসলামের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা তপন মিত্র, প্রিন্স সদরুজ্জামান, এডভোকেট জসিম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, এমএ হান্নান, বেলাল খান, আব্দুল হামিদ কুটু, সজল চৌধুরী, এডভোকেট শঙ্কর কুমার দেব, এড. আব্দুর রকিব বাবলু। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, এডভোকেট বিপ্লব কান্তি দে মাধব, সৈয়দ আতিকুর রব চৌধুরী জুয়েল, এড. অরুণ চন্দ্র নাথ, এড. একরামুল হাসান শিরু, এড. নজরুল ইসলাম, এড. মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী, এড. রমা কান্ত নাথ, আবেদুজ্জামান, শামীম ইকবাল, সাব্বির আহমদ, জহির আহমদ নিয়াজ খান, জমসেদ সিরাজ, আবু সুফিয়ান নেবু প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ‘কোনোভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনা বরদাশত করা হবে না। বিরোধিতাকারী মৌলবাদী চক্রের বিষদাঁত ভেঙে ফেলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর তা না হলে আমরা দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।’ ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা নেতারা জানিয়েছেন- মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত কমিটিতে আমরা আছি কিনা জানি না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা মহানগর আওয়ামী লীগে আছি। এ কারণে কর্মসূচিতে আমরা মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানার নিয়েই হাজির হয়েছি। এখানে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই বলে দাবি করেন তারা।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৫ই ডিসেম্বর মাসুক উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও অধ্যাপক জাকির হোসেনকে সভাপতি করে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এর আগের কমিটিতে সভাপতি ছিলেন সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আসাদউদ্দিন আহমদ। মাঠ পর্যায়ের দ্বন্দ্ব কমাতে সাবেক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়েই নতুনভাবে মহানগর আওয়ামী লীগ গঠন করা হয়েছিল।

সিলেট বিএনপিতে মুখোমুখি নেতারা

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন