নারী স্বাধীনতার পক্ষে প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরও বেগম রোকেয়াকেই আমরা গণ্য করতে পারি মন্তব্য করে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল বলেন, বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের ইতিহাসে বেগম রোকেয়ার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বুধবার (৯ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে উপমহাদেশের প্রখ্যাত মহিয়সী নারী, নারী শিক্ষার দূত বেগম রোকেয়ার ১৪০তম জন্মবার্ষিকী ও ৮৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাঙালি সমাজের নারী-পুরুষের অসঙ্গতির বিরুদ্ধে প্রথম যে কণ্ঠটি আওয়াজ করেছিলো সেটি বেগম রোকেয়া। নারী স্বাধীনতার পক্ষে প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরও বেগম রোকেয়াকেই আমরা গণ্য করতে পারি। তিনি বাঙালির নব জাগরণের সূচনা লগ্নে নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণে নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, নারী শিক্ষার মাধ্যমেই দেশ ও জাতি উন্নত পরিবেশের আধুনিক আইনের শাসনের রাষ্ট্র গঠন করতে পারে। সেই লক্ষ্যেই বেগম রোকেয়া তার জীবনে নারী জাগরণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং নারীদের শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ব্রত নিয়েছিলেন। আসুন আমরা বেগম রোকেয়ার মত নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখি এবং সেই নারী শিক্ষার মাধ্যমেই দেশ হবে একটি আধুনিক উন্নত পরিবেশের আইনের শাসনের বাংলাদেশ।
এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, বেগম রোকেয়া বাংলাদেশের বাঙালি হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছেন বলেন, আজ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলের নেতা নারী এবং স্পিকার নারীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নারীর অগ্রাধিকার হয়েছে। তাই আমরা নারীকে আরো উন্নত শিক্ষার আওতায় নিতে চাই। আর যদি এই কাজটি আমরা করতে পারি তাহলেই বেগম রোকেয়াকে সঠিক সম্মান দেখানো হবে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি মোসতাক আহমেদ, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, দলের সহ সভাপতি জাহানারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন