পরিচালকের সঙ্গে ছিল ‘বিশেষ’ চুক্তি, অকালে শেষ ক্যারিয়ার

পরিচালক সুভাষ ঘাই, তার হাত ধরেই বলিউডে এসেছিলেন মহিমা। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই তাকে মহিমার গডফাদার বলেই মনে করেন। সেই পরিচালককেই এবার নিজের ক্যারিয়ার অকালে শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করলেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর অভিযোগ, বাকি পরিচালক প্রযোজকদের সুভাষ বলেছিলেন, মহিমার সঙ্গে কাজ না করতে।

 

নিজের দাবিকে জোরালো করতে পরিচালক নাকি মিথ্যা ভাষণ করেছিলেন। বলেছিলেন, তার সঙ্গে মহিমার বিশেষ চুক্তি রয়েছে। তার শর্তসাপেক্ষে মহিমার সঙ্গে কাজ করতে হলে আগে তার সঙ্গে কথা বলতে হবে। নইলে চুক্তির শর্তভঙ্গ হবে।

শুধু মুখে বলেই থেমে থাকেননি সুভাষ ঘাই। মহিমার দাবি, তিনি ১৯৯৮ অথবা ১৯৯৯’র কোনও এক ‘ট্রেড গাইড’ পত্রিকায় এই মর্মে বিজ্ঞাপনও দিয়েছিলেন।

এই প্রসঙ্গে মহিমার দাবি, তার সঙ্গে কোনও দিন এই মর্মে সুভাষ ঘাইয়ের কোনও চুক্তি হয়নি। অথচ কোনও একসময় এই সুভাষ ঘাইয়ের জন্যই নতুন পরিচয়ের পাশাপাশি নতুন নামও পেয়েছিলেন মহিমা। সুভাষের পছন্দ ছিল নায়িকার ‘ম’ দিয়ে নাম। তাই ‘ঋতু’ হয়ে যান ‘মহিমা’। ১৯৭৩’র ১৩ সেপ্টেম্বর মহিমার জন্ম দার্জিলিংয়ে। ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়াশোনা কার্শিয়াং’র ডাও হিল স্কুলে। তারপর দার্জিলিংয়ের লোরেটো কলেজ। বিনোদনের দুনিয়ায় তার হাতেখড়ি বিজ্ঞাপনে অভিনয় দিয়ে।

আমির খান এবং ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে তিনিও কাজ করেছিলেন পেপসির বিজ্ঞাপনে। এরপর মিউজিক চ্যানেলে সঞ্চালিকা হিসেবে কাজ করছিলেন ঋতু। তখনই তিনি নজরে পড়েন পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের। তিনি তাকে সুযোগ দেন ‘পরদেশ’ ছবিতে। তারকা শাহরুখ খানের পাশে রোমান্টিক চিত্রনাট্যে সাবলীল অভিনয় তাকে এনে দেয় সেরা নবাগত নায়িকার পুরস্কার।

ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকতেই লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে জড়িয়ে যায় তার নাম। ২০০৪ সালে তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শোনা যায়। কিন্তু ২০০৬ সাল নাগাদ সে সম্পর্ক ভেঙে যায়।

মহিমার অভিযোগ ছিল, তাকে লুকিয়ে সঞ্জয় দত্তের সাবেক স্ত্রী রিয়া পিল্লাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন লিয়েন্ডার। যা মহিমা মেনে নিতে পারেননি।

পরে মহিমা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, লিয়েন্ডার বড় টেনিস খেলোয়াড় হতে পারেন। কিন্তু তিনি কখনওই ভালো প্রেমিক নন। যদিও মহিমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল বলে স্বীকারই করেন না লিয়েন্ডার। তার দাবি, মহিমা এবং তিনি শুধুই ভালো বন্ধু ছিলেন। তার বেশি কিছু নয়।

এত দিন অবধি মহিমার ক্যারিয়ারে ভরাডুবির জন্য কাঠগড়ায় ছিল লিয়েন্ডারের সঙ্গে সম্পর্ক। কিন্তু এবার স্বয়ং অভিনেত্রীর অভিযোগের আঙুল তার অতীতের ‘গডফাদারের’ বিরুদ্ধেই। সুভাষ ঘাইয়ের জন্যই রামগোপাল বর্মা তাকে ‘সত্য’ থেকে বাদ দেন, অভিযোগ মহিমার।

মহিমার কথায়, সিনেমায় তার লুক কেমন হবে, এ নিয়ে রামগোপালের সঙ্গে তার আলোচনাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুটিংয়ের দু’দিন আগে মহিমা ফোন পান পরিচালকের সেক্রেটারির। জানতে পারেন, তিনি ওই সিনেমায় অভিনয় করছেন না।

এ কথাটা কি রামগোপাল নিজে জানাতে পারতেন না? এতদিন পরেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি মহিমার। জীবনের সেই কঠিন সময়ে তার পাশে ছিলেন সালমান খান, রাজকুমার সন্তোষী, সঞ্জয় দত্ত এবং ডেভিড ধবন। ইন্ডাস্ট্রির অন্য কেউ এই ঘটনায় প্রতিবাদ অবধি করেননি, দাবি মহিমার।

‘পরদেশ’র পরে তিনি অভিনয় করেন ‘দাগ দ্য ফায়ার’, ‘প্যায়ার কোই খেল নেহি’, ‘দিল ক্যায়া করে’, ‘দিওয়ানে’, ‘কুরুক্ষেত্র’, ‘খিলাড়ি ৪২০’, ‘লজ্জা’, ‘ওম জয় জগদীশ’, ‘তেরে নাম’, ‘বাগবান’, ‘এলওসি কার্গিল’র মতো ছবিতে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন