জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
সীমান্তে সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তান জড়িত ভারতের এমন দাবি ‘স্পষ্টভাবে প্রত্যাখান’ করেছে ইসলামাবাদ। ২০০১ সালে ভারতের নয়াদিল্লির পার্লামেন্টে জঙ্গি হামলায় হতাহতদের স্মরণ করে ভারত। সীমান্তে সন্ত্রাবাদের পেছনে পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ ভারতের।
১৯ বছর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে ভারতের সংসদে ঢুকে পড়ে পাঁচ বন্দুকধারী। তাদের সঙ্গে সংঘাতে প্রাণ হারান নিরাপত্তা সদস্যসহ বেশ কজন।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লিতে পার্লামেন্ট হামলার ১৯তম বার্ষিকীতে বক্তব্য রাখেন সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর।
দিনটি স্মরণ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রতিবেশী দেশের দ্বারা ভারত ক্রমাগত সীমান্ত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হচ্ছে। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর, পাঁচ বন্দুকধারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংসদের স্টিকার লাগানো গাড়িতে ভারতীয় সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে। ওই হামলায় নয়জন নিহত হন। নৃশংস হামলার জেরে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হয়।
যদিও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। জয়শঙ্করের মন্তব্যকে 'ভিত্তিহীন' বলে পাল্টা বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের মনগড়া অভিযোগ পুরোপুরি প্রত্যাখান করছে ইসলামাবাদ। ভিত্তিহীন অভিযোগ উপস্থাপন করে সত্যকে আড়াল করা যায় না।'
এদিকে ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পুলওমায় নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি বহরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে ৫০ জনের মতো নিরাপত্তা সদস্য প্রাণ হারান। হামলায় পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইস-ই-মুহাম্মদকে দায়ী করে ভারত। এর পেছনে ইসলামাবাদও জড়িত উল্লেখ করে পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনার দাবি করে মোদি সরকার। সবশেষ ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আরো তলানিতে ঠেকেছে।
ভারত সীমান্তে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে এর প্রমাণাদি সম্প্রতি পেশ করে জাতিসংঘের কাছে নালিশ করে পাকিস্তান। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন