মো:আলম হোসেন বেলজিয়াম
-মৃত্যু মানে কেবলই একটা জীবনের ইতি, একটা শরীরে পরিসমাপ্তি। তা কখনেই সম্পর্কের শেষ নয়। বরং, মৃত্যুই এমন যা জীবিত থাকাকালীন অনেক চেপে রাখা সত্যকে সামনে নিয়ে আসে। স্মৃতি চারণায় বিস্মৃতির সরণি বেয়ে হেঁটে আসে অনেক সুখ, দুঃখ, ভালোলাগা, অভিমান, উল্লাসের এক একটা মুহূর্ত। মৃত্যু এমনই যা মুখে কিছু না বলে চোখের জলে কথা বলিয়ে দেয়। চোখের জল আর কম্পমান ঠোঁট অনর্গল বলে দেয় মনের ভিতর চেপে থাকা এমন সব কথা যা, মানুষটি বেঁচে থাকাকালীন বলে ওঠা হয়নি। আপনার বেলজিয়ামের গণ মানুষের কান্নার আওয়াজে বেলজিয়াম তথা ইউরোপের আকাশ-বাতাস যেনো ভারী হয়ে উটেছে, শোকের মাতাম যেনো সারা ইউরোপ জুড়ে। তাছাড়া দীর্ঘদিনের সতীর্থকে হারিয়ে কাতর হয়ে পড়েছেন রাজনৈতিক নেতারা।
চারদিকে শুধু নীরব কান্না, আহাজারি। কাউকে বোঝানোর ক্ষমতা কারো নেই। সবাই পাগলপ্রায়। বেলজিয়ামের মাটি ও মানুষের নেতা আহমদ সাজার মতো আর কেউ আসবেন না।
বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ও আমাদের অকৃত্রিম রাজনৈতিক অভিভাবক জনাব আহমদ সাজা আর নেই।গত ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০,৩০ মিনিট তিনি বেলজিয়ামের আলেস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
আহমদ সাজা ছিলেন বেলজিয়াম বিএনপির একনিষ্ট এক নেতা। তাঁর হৃদয়জুড়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান । তিনি কখনো পদপদবী কিংবা সুযোগ সুবিধার মোহে অন্ধ ছিলেন না। দীর্ঘদিন বেলজিয়াম বিএনপির নেতৃত্বে থাকায়- বেলজিয়াম মানে আহমেদ সাজা এধরনের একটা অবস্থান তিনি তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি সুখে দু:খে বেলজিয়াম বাসীর পাশে ছিলেন সবসময়।
আহমদ সাজা রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞায় সমৃদ্ধ এক নেতা।সাজা ভাইয়ের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের দূরদর্শী চিন্তা জুড়ে ছিলো বেলজিয়াম তথা ইউরোপের আপামর জন-সাধারনকে নিয়েই।
প্রিয় সাজা ভাই, তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে...। হঠাৎ তাড়াহুড়ো করে অসময়ে আপনার এই প্রস্থানে বেলজিয়ামের রাজনৈতিক অঙ্গনের অভাবনীয় যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরন হবার মতো নয়। আপনি না থাকলেও আপনার নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা ভুলবো না। যে সুন্দর বেলজিয়াম বিএনপি উপহার দিতে চেয়েছিলেন, সেই বেলজিয়ামের প্রতিটি প্রান্তেই আপনাকে খুঁজবো।তুমি আছো স্মরণের আয়নাতে বেলজিয়াম এর আকাশে তুমি ধ্রুবতারা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন