৬১০টি মাদ্রাসা বন্ধ করে দিচ্ছে আসাম

 জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

ভারতের আসাম রাজ্যে সরকার পরিচালিত সব মাদ্রাসা ও টোল (সংস্কৃত স্কুল) বন্ধ করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে রাজ্য সরকার। আসামের বিজেপি সরকারের মুখপাত্র ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোওয়ারি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিষয়টি এরইমধ্যে রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে।

রাজ্যের বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন বসছে ২৮ ডিসেম্বর থেকে। এই অধিবেশনে এ বিষয়ে একটি বিল পেশ করা হবে। মাদ্রাসা ও সংস্কৃত স্কুল সম্পর্কিত বর্তমান আইন বাতিল করার বিষয় থাকবে এই বিলে। আসামের রাজধানী গৌহাটিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

 

মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোওয়ারি আরো জানান, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকার পরিচালিত সব মাদ্রাসা ও সংস্কৃত স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর আসামজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এরইমধ্যে এর বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসআইয়ের আসাম প্রদেশের সাবেক সভাপতি প্রদীপ রায় মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বলেন, এ বিষয়টি তারা সাধারণভাবে নিচ্ছেন না। মাদ্রাসা বন্ধ করার পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তাদের ধারণা। সেই সঙ্গে রয়েছে ধর্মীয় সুরসুরিও। মাদ্রাসা বন্ধ করা হলে তা হবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিতে আঘাত। মাদ্রাসায় শুধু আরবি শিক্ষা দেওয়া হয় না। বিজ্ঞান ইংরেজি অংক ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়। তাই মাদ্রাসা বন্ধ করার কোন যুক্তি নেই।

ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন এবং সরকারকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য করবেন বলেও জানান তিনি।

অন্য আরো একটি বিরোধী রাজনৈতিক দল এআইইউডিএফের সভাপতি বদরুদ্দিন আজমলের কাছে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গেছে, তারাও আসাম সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন।

বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ইতিমধ্যে ব্যাপক সমালোচনা এবং প্রতিবাদের ঝড় শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, আসামের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গত অক্টোবরে জানিয়েছিলেন, রাজ্যে মোট ৬১০টি সরকার পরিচালিত মাদ্রাসা রয়েছে এবং সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বছরে ২০০ কোটি রুপি ব্যয় করে। এসব মাদ্রাসা উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হবে এবং শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে নতুন করে ভর্তি করানো হবে। এছাড়া সংস্কৃত স্কুলগুলোকে ভারতীয় সংস্কৃতি, সভ্যতা ও জাতীয়তাবাদ শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন