ফের ইলেকটোরাল কলেজ বাতিলের আহ্বান হিলারির

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

আবারও ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক ফার্স্ট লেডি ও ২০১৬ সালের ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। ইলেকটোরাল কলেজ ভোটার হিসেবে নিজের ভোট দেয়ার সময় এ আহ্বান জানান তিনি। হিলারি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টর বা ইলেকটোরাল কলেজ ভোটার। তার স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনও একই রাজ্যের ইলেক্টর। তারা দু’জনে একসঙ্গে বাইডেনকে ভোট দেন।

স্থানীয় সময় সোমবার বিভিন্ন রাজ্যের ইলেক্টররা হেসে-খেলে খোশমেজাজে বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছেন। ডেইলি মেইল, নিউইয়র্ক টাইমস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি জটিল। এতে জনগণের ভোটের পর ইলেকটোরাল কলেজ সভা বা ইলেক্টররা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে। ২০০০ সালে জর্জ বুশ ও ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটন পপুলার ভোটে জয়ী হওয়ার পরও প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। তখন থেকেই তিনি ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। বাইডেনকে ভোট দেয়ার পর হিলারি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের উচিত ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি বাতিল করা এবং অন্যান্য নির্বাচনের মতো সরাসরি জনগণের ভোটে বিজয়ীকে প্রেসিডেন্ট বাছাই করা।

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজ নির্বাচনের দিকে যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, গোটা বিশ্বের চোখ ছিল। কারণ নির্বাচনের আগ থেকেই ট্রাম্প হেরে গেলে ফল মেনে নেবেন কি না, পরাজয় স্বীকার করবেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি। ভোটে হার নিশ্চিত হওয়ার পরও তিনি বলেছেন, ইলেকটোরাল কলেজ আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বাছাই করার পরই কেবল তিনি পরাজয় স্বীকার করবেন। ফলে ২২৪ বছরের ইতিহাসে ইলেকটোরাল কলেজ নিয়ে প্রথমবারের মতো উত্তেজনা তৈরি হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক। বিভিন্ন রাজ্যের ইলেক্টররা একসঙ্গে খোশ মেজাজে নিজেদের ভোট দেন। এ সময় সেলফি, ইমোজি ও মজার গল্পে মেতে থাকতে দেখা যায় অনেককে। কিছু রাজ্যে ভোট দিতে সশরীরে উপস্থিত না হয়ে ভার্চুয়ালি মিলিত হয়েছেন ইলেক্টররা।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন