বিশেষ সংবাদদাতা : ব্রিটেনের বৃহৎ ও অন্যতম সামাজিক সংগঠন বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকে’র বাংলাদেশে পরিচালিত ব্যাংক একাউন্টের লেনদেন স্থগিত রাখাসহ কতিপয় অভিযোগ এনে সিলেটের সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি।
আর মামলা গ্রহণ করে বিজ্ঞ আদালত মামলা নিস্পতি না হওয়া পর্যন্ত কেন অস্থায়ীভাবে ব্যাংক হিসাব বন্ধ রাখা হবে না তা জানতে ট্রাস্টের সভাপাতিসহ ৬ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছেন। সম্প্রতি সিলেটের সহকারী জজ আদালত এ আদেশ দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে বিবাদী পক্ষকে কারণ দর্শানোর নিদের্শ প্রদান করেছেন।
জানাযায়, বিয়ানীবাজার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র ট্রাস্টি এনামুল হক চৌধুরী সিলেটের সহকারী জজ আদালতে বিয়ানীবাজার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি, সম্পাদকসহ ট্রাস্টের সাথে যুক্ত ৫ জন এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড বিয়ানীবাজার শাখার ম্যানেজার এর বিরুদ্ধে স্বত্ব মোকদ্দমা দায়ের করেন। মামলার আরজিতে এনামুল হক চৌধুরী উল্লেখ করেন, বিবাদীরা বিয়ানীবাজার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র নাম পরিবর্তন করে বিয়ানীবাজার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট লিমিটেড করেছেন পাশাপাশি ট্রাস্টিদের অনুমতি না নিয়ে একাউন্টের পূর্বের নাম পরিবর্তন করে বিয়ানীবাজার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে লিমিটেড করারও অভিযোগ করেন। বাদী এনামুল হক চৌধুরী, তার আরজিতে বলেন, মামলায় অভিযুক্তরা ট্রাস্টিদের সাথে আলোচনা বা অনুমতি না নিয়ে জনকল্যাণমূলক সংগঠন বিয়ানীবাজার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র নাম পরিবর্তন করে বিয়ানীবাজার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট’র সম্পদ ও তহবিল তছরুপের তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। তিনি একাউন্টে স্থিত সমুদয় টাকা বা উহার কোন অংশ যাতে উত্তোলন করতে না পারেন সে জন্য আদালতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দাবী করেন।
আদালত বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে বিয়ানীবাজার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র সভাপতি, সম্পাদকসহ কার্যকরি কমিটির ৫ জন এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড বিয়ানীবাজার শাখার ম্যানেজারকে নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার বাদী এনামুল হক চৌধুরী জানান, তিনি বিয়ানীবাজারবাসীর যৌক্তিক দাবীর প্রতি একাত্বতা ও বিয়ানীবাজারবাসীর সম্পদ রক্ষার জন্য আদালতের দারস্ত হয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আদালতের আদেশের মধ্য দিয়ে তিনি ন্যায় বিচার পাবেন।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড বিয়ানীবাজার শাখার ম্যানেজারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ রকম কোন আদেশ এখনো তার হাতে এসে পৌছেনি। পৌছার পর করনীয় নির্ধারণ করবেন বলে তিনি জানান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন