জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী ও প্রাণকেন্দ্র টিএসসি ভেঙে ফেলা হবে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিলো দেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে। তবে এখবরের সত্যতা অস্বীকার করে ঢাবি সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ জানিয়েছেন, টিএসসি ভেঙে ফেলার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু টিএসসির দায়িত্ব নিয়েছেন, সেহেতু ‘নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে’।
টিএসসির রূপবদল নিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে টিএসসির নকশার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর যে সৌন্দর্যবোধ, রুচি ও আধুনিক স্থাপত্য সম্পর্কে ধারণা আছে, আমার বিবেচনায় টিএসসি ভবনের জন্য নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে।
যেহেতু নকশার কাজ এখনো শেষ হয়নি, তাই এটি নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। নকশা চূড়ান্ত হয়ে এলে মন্তব্য করা যাবে। প্রয়োজনে নকশাটি উন্মুক্তও করা যেতে পারে। এখন এটুকু বলতে পারি, টিএসসি ভেঙে ফেলার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।’
এদিকে শিক্ষকদের কেউ কেউ টিএসসির দৃষ্টিনন্দন ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তবে টিএসসিকে নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর। নকশা প্রস্তুত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গণপূর্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে চাহিদাপত্রও নিয়েছে। এখন নকশার কাজ চলছে।
নকশা অনুযায়ী যদি টিএসসি ভবন ভাঙতে হয়, সে ক্ষেত্রে সায় আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বললেন, ‘এটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যাওয়ার আপাতত কোনো সুযোগ নেই।’ গ্রিক স্থপতি কন্সটান্টিন ডক্সিয়াডেস বিগত শতাব্দীর ষাটের দশকের শুরুতে টিএসসির নকশা করেছিলেন। ওই দশকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খানের আমলেই ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন