কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটির গণশুনানিতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
রোববার (১৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জের (সিআইসি) কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি এ গণশুনানির আয়োজন করে। দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে ১২ জন প্রত্যক্ষদর্শী রেজিস্ট্রেশন করেন। তখনও গণশুনানি চলছে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ কমিটির অন্যরা উপস্থিত আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বাহারছড়া রহমানিয়া তালিমুল কোরান নুরানী মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল হক জানান, মাদ্রাসা আর ঘটনাস্থল একদম সন্নিকটে। মাদ্রাসার ছাদ থেকে সেদিন অনেকেই ঘটনাটি দেখেছে। সবারই একই কথা পুলিশ গাড়ি থেকে নামিয়ে সিনহাকে গুলি করেছে।
এর আগে গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত করে কারণ ও উৎস অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে মতামত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে তদন্ত দল রোববার এ গণশুনানির আয়োজন করে।
অপরদিকে এ ঘটনায় নিহত মেজর সিনহার বোন শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন। মামলায় পুলিশের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। এ মামলায় বর্তমানে সাত আসামি জেল হাজতে রয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন