যে কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

  জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

আবেদন শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ পিছিয়ে যাচ্ছে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। যে দুই কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে তা হলো- করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট। নিয়োগ পরীক্ষা কবে হবে তা এখন অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়ে গেল।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) নিয়োগ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও ব্যাংকগুলো নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার জন্য উদ্যোগী হওয়ার পর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার জন্য চিন্তা করা হয়। কিন্তু এ দুটি প্রতিষ্ঠান যখন করোনার মধ্যে পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তখন আমরাও পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছি। এছাড়া প্রাথমিকে পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ বাতিল চেয়ে রিট করেছেন কয়েকজন প্রার্থী। রিটের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পযন্ত নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া যাবে কি না তাও এখন নিশ্চিত নয়।

 

কর্মকর্তারা জানান, হাইকোর্টে শুনানির পর কী ধরনের রায় আসে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তবে এ রিটের কারণে নিয়োগ পরীক্ষায় তেমন সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন ডিপিই কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনসুর আলম বলেন, হঠাৎ করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আপাতত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরপরই এ পরীক্ষা নেয়া হবে।

পোষ্য কোটা বাতিলের রিট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না বলে আমি মনে করি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রয়ারি-মার্চ মাস থেকে ধাপে ধাপে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি ছিল। এবার আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল। এখন করোনার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না।

তথ্যমতে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে প্রায় ১৩ লাখ আবেদন হয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ২৪ নভেম্বর। অনলাইনে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২৫ অক্টোবর।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন