জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
প্রথমধাপে আগামী ২৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রথমবার বড়লেখায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। তবে ইভিএম নিয়ে তরুণ ভোটারদের আগ্রহ থাকলেও প্রবীণদের অনাগ্রহ রয়েছে।
এর কারণ হিসেবে প্রবীণ ভোটাররা বলছেন, ইভিএমে কীভাবে ভোটপ্রয়োগ করতে হয় তা তারা অনেকে জানেন না। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি-না তা নিয়েও তারা শঙ্কায় রয়েছেন। তবে তরুণ ভোটাররা বলছেন, ইভিএম পদ্ধতিতে খুব সহজেই ভোট দেওয়া যায়। এতে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কীভাবে ভোট দিতে হয় তা ভোটারদের শেখাতে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) অনুশীলনমূলক (মক) ভুটিংয়ের আয়েজন করে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। এতে দেখা গেছে, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ১৫ হাজার ৪৪৩ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন ভোটার মক (অনুশীলনমূলক) ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
সরেজমিন শনিবার দুপুরে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বড়লেখা সরকারি কলেজ, ষাটমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংহগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়লেখা মুহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসাসহ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা ইভিএম পদ্ধতিতে কীভাবে ভোট দিতে হয় তা ভোটারদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এসব কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে মুহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে কিছুটা ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়।
এদিকে শনিবার পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার অনন্ত ১০ জন সাধারণ ভোটারের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের সবাই প্রবীণ। তবে তাদের কেউই ইভিএমে কীভাবে ভোট প্রয়োগ করতে হয়, তা শিখতে ভোটকেন্দ্রে যাননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, ‘আগে আমরা ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছি। এবার ইভিএমে ভোট দিতে হবে। ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয় তা আমাদের জানা নেই।’ বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট ইভিএমে কীভাবে দিতে হয় তা তো শেখানো হচ্ছে, যাননি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ‘শুনেছি ইভিএমে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যায় না। দিতে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই আর যাইনি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার হাটবন্দ এলাকার এক প্রবীণ ভোটার বলেন, ‘এমনিতেই ভোট নিয়ে নানা ঝামেলা হয়। এবার নাকি মেশিনে ভোট দিতে হবে। মেশিনে ভোট দেওয়া নিয়ে নানা কথা শুনি। যেখানেই চাপ দেই না কেন তা নাকি একটি মার্কায় চলে যাবে। এমনটা সত্যি হলে তা চিন্তার বিষয়।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন