মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) ঃযুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়ে করোনায় আক্রান্ত এক কৃষ্ণাঙ্গ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগে এক ভিডিওতে তিনি প্রকাশ করেন, বর্ণবৈষম্যের কারণে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ডা. সুসান মুর নামের ৫২ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ইন্ডিয়ানাপোলিসের বাসিন্দা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কিছুদিন আগে সুসান মুর অভিযোগ করেন, একজন চিকিৎসক হয়েও শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসকের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন তিনি। তাকে চিকিৎসার জন্য ভিক্ষা চাইতে হয়েছে অন্য চিকিৎসকদের কাছে। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি হসপিটাল নর্থের শয্যায় শুয়ে থাকা অবস্থায় একটি ভিডিও ধারণ করেন ডা. মুর। ভিডিওতে ওই নারী চিকিৎসক হাসপাতালটির চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবহেলার ব্যাপক অভিযোগ করে যান। তার মৃত্যুর পর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, চিকিৎসার জন্য সুসান ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি হসপিটাল নর্থের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ৪ ডিসেম্বর পোস্ট করা ওই ভিডিওতে তিনি বর্ণনা করেন, কীভাবে তার ব্যথাকে গুরুত্ব দেয়নি শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসক। ব্যথার কারণে তিনি তখন কান্না করছিলেন এবং তার শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়েছিল। করোনাক্রান্ত এ নারী চিকিৎসক বলেন, তিনি (কর্তব্যরত চিকিৎসক) আমার ফুসফুস পর্যন্ত পরীক্ষা করে দেখেননি। তিনি একবারও আমায় স্পর্শ করেননি। যুক্তরাষ্ট্রে বরাবরই বর্ণবৈষম্যের শিকার কৃষ্ণাঙ্গরা। যার জেরে চলতি বছর দেশটি টানা বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে কেঁপে ওঠে। এর পরও মহামারিতে বর্ণবৈষম্যের শিকার হচ্ছেন কৃষ্ণাঙ্গরা। ভাইরাসটিতে তাদের মৃত্যুর সংখ্যাও তুলনামূলক বেশি। এদিকে চিকিৎসাসেবা দিতে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা রোগীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। তবে নির্দিষ্টভাবে কোনো রোগের নাম উল্লেখ করেনি। মৃত্যুর সময় ১৯ বছর বয়সী এক ছেলে ও মা-বাবাকে রেখে যান ডা. মুর। পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা দিতে গো ফান্ড মি নামের একটি পেজ কাজ করছে। যাদের কাছে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২ হাজার ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ হয়েছে
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন