কোন ধরনের স্বাস্থ্য বিধি না মানায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় জনস্বার্থে অবিলম্বে গণপরিবহনের ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে সরকার নির্ধারিত আগের ভাড়া কার্যকর করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
রবিবার (১৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ কথা বলেন।
তারা বলেন, ১ জুন থেকে করোনা দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের জন্য পরিবহন মালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু গণপরিবহনে মালিকরা সেই স্বাস্থ্যবিধি এখন আর মানছে না। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সব অফিস আগের নিয়ম অনুযায়ী চালু হবে বিধায় যাত্রী-সাধারণের চাপও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গণপরিবহন মালিকরা বর্ধিত ভাড়া কমায়নি। বিধায় সাধারণ যাত্রীরা অহেতুক বর্ধিত ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়ার চেয়েও অধিকাংশ সড়কে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে করোনা সংকটে কর্মহীন ও আয় কমে যাওয়া দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সরকার মালিকদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে করোনার মহাসংকটকালে দেশের অসহায় জনগণের ওপর একচেটিয়াভাবে বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বর্ধিত করে অযৌক্তিকভাবে চাপিয়ে দিয়েছিল। ফলে দেশব্যাপী সকল প্রকার যানবাহনের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
তারা বলেন, সরকারের এগুয়েমী নীতি আর মালিকদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফলে যাত্রীস্বার্থ চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। ফলে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানিকে আরেক দফা উসকে দেয়া হয়। সেই সময়ে বাংলাদেশ ন্যাপ সহ দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এই ভাড়া বৃদ্ধির তীব্র বিরোধিতা করা হলেও সরকার তা আমলে নেয়নি।
নেতৃদ্বয় অবিলম্বে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে সরকার নির্ধারিত গণপরিবহনের আগের ভাড়া কার্যকর করার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন