জিবি নিউজঃ মৌলভীবাজারে বদরুন্নেসা প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগে মানববন্ধন হয়েছে।
(২৯ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ১১: ঘটিকায় মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন নেতৃবৃন্দসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সায়েদ মিয়া।
উল্লেখ্য, গত (২৭ ডিসেম্বর) রবিবার সকালে,সদর উপজেলার ছিড়াইনগর গ্রামের শাহাবন্দর খাঁন বাড়ির বাসিন্দা সায়েদ মিয়ার স্ত্রী গর্ভবতী লাকী খানমকে ভর্তি করা হয় বদরুন্নেছা প্রাইভেট হাসপাতালে।
অনুমান সকাল ৭: ৩০ ঘটিকায় গর্ভবতী লাকি খানমকে প্রসব বেদনায় যখন যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন তখন তাহার স্বামী সায়েদ মিয়াকে ডেকে আনা হয়, বলা হয় আপনার স্ত্রীর নরমাল ডেলিভারি করবো নাকি সিজার। সায়েদ মিয়া জানান, নরমাল সিজার বুঝিনা আমার সন্তান ও স্ত্রী যেন কোন ক্ষতি না হয় সেই ব্যবস্হা অনুযায়ী আপনারা করেন। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, আপনার স্ত্রী সকল রিপোর্ট ভালো আছে এবং বাচ্চার প্রছিশন ভালো আছে।
কর্তব্যরত ডাক্তারের উপস্থিতিতে হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও আয়া নরমাল ডেলিভারি করার জন্য রুমে প্রবেশ করিয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টা করার পর ব্যর্থ হয়ে রোগীর স্বামীকে ডাকান। তখন সায়েদ ঐ রুমে প্রবেশ করে দেখেন বাচ্চার মাথা ও কানে টেনে কিছুটি বাহির করে আর পারছেননা, তখন তিনি ডাক্তারকে বলেন আমার বাচ্চার যে অবস্থা আপনারা মেরেই ফেলবেন। তখন ডাক্তার বললেন আপনার স্ত্রীর সিজার করানো লাগবে আপনে কোন চিন্তা করবেননা এদিকে আসেন এই কাগজে আরেটি সাক্ষর দিয়ে মিষ্টি নিয়ে আসেন। আর শিশু ডাক্তার আনতে হবে টাকা দিন।
তারপর সিজার রুমে প্রবেশ করানো হয়। সিজারের সময় বাচ্চার কাঁন্না শুনা যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর আয়া বাচ্চার একহাত ধরে ঝুলিয়ে রুমে নিয়ে আসে। রুমে নিয়ে শিশু ডাক্তার বাচ্চার মুখে অক্সিজেন লাগিয়ে দেন তখন সায়েদ মিয়া ডাক্তারকে প্রশ্ন করলেন আমার বাচ্চা কি জীবিত, তখন ডাক্তার বললেন হার্টবিট অনেকটি কাজ করতেছে। তখন সায়েদ মিয়া বাচ্চার মুখ থেকে অক্সিজেন খেলে দেখেন বাচ্চা মৃত্যু। তখন ডাক্তারকে বলেন আমার বাচ্চাকে মেরে এনে আপনারা মৃত্যু বাচ্চার মুখে কেন অক্সিজেন লাগিয়ে রাখছেন। তখন ডাক্তার কিছু না বলে রুম থেকে বাহির হয়ে যান। তিনি জানান, হাসপাতালের মালিক আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন ছিল্লাছিল্লি করে মানুষকে শুনাইয়া লাভ নাই আস আমার চেম্বারে কতো টাকা লাগবে আপোশ করে পেলি। তখন সায়েদ মিয়া টাকা দিয়ে আপোষ করবেননা জানালে, মালিক বলেন মৌলভীবাজারের এসপি, ডিসি, সিভিল সার্জন সব আমার তুমি কিছু করতে পারবেনা। এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সায়েদ মিয়া।
এ বিষয়ে বদরুন্নেসা প্রাইভেট হাসপাতালে গেলে পরিবেশ অনেকটা উত্তেজনা পাওয়া যায়। গঠনাস্হলে পুলিশ মোতায়েন ছিলো।
সায়েদ মিয়া যখন কাঁন্না করে উত্তেজিত হয়ে কথা বলছিলেন তখন হাসপাতালের মালিক বদরুন্নেসা এসে বারাবার শান্তনা দিয়ে বলেন আপনার সন্তানকে এনে দিতেছি শান্ত হন।
বদরুন্নেসা প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক বদরুন্নেসার ছেলের বউ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ডাঃ যাকিয়া শহীদ জানান, আমরা সম্পূর্ণ প্রসেসিং হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী করেছি। রোগীপক্ষের কথামতো আমরা প্রথমে নরমাল চেষ্টা করছি ডেলিভারির জন্য পরে সিজার করছি। দেখুন নরমালে সিজারের জন্য প্রথমে আমরা বনসই নিয়েছি, সিজারের সময় আমরা বনসই নিয়েছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন