দেশ-জাতি, গণতন্ত্র জাতি যখনই সঙ্কটে পড়েছে তখনই এদেশের ছাত্র সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করে জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, ১৯৫২, ৬৭, ৬৯, ৭০, ৭১, ৯০ সকল সঙ্কটে অধিকার আদায়ের ছাত্র সমাজের ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। শাসকগোষ্টির নীতিহিন রাজনীতির কারণে ছাত্র রাজনিতির গৌরবোজ্জল সেই ইতিহাস আজ হারাতে বসেছে।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাগপা ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি আজ দু’টি ধারায় বিভক্ত। একটা ত্যাগের, আর একটি ভোগের। এখন ত্যাগের ধারা নয়, ভোগের ধারাই প্রধান হয়ে গেছে। ছাত্র রাজনীতিতে যে অপসংস্কৃতি, অপরাজনীতি প্রবেশ করেছে সেটা থেকে মুক্ত করতে হবে। ছাত্র রাজনীতিকে নিজস্ব গন্ডিতে চলার সুযোগ দিতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, সারা দেশে দুর্নীতি এক ভয়াবহ ক্যান্সারে রুপান্তরিত হয়েছে। ১৯৭৪ সালের ছাত্রলীগের তৎকালিন সাধারন সম্পাদক শফিউল আলম প্রধান দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেই ছাত্র রাজনীতির নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। আজকের ছাত্র সমাজকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
জাগপা ছাত্রলীগ নেতা বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও শেখ সোহেলের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাগপা সাধারন সম্পাদক এস এম শাহাদাত, জাগপা যুগ্ম সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পি, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, জাগপা নেতা মাস্টার সুমন প্রমুখ।
প্র্রধান বক্তার বক্তব্যে এস এম শাহাদাত বলেন, এদেশের ভূখন্ডের জন্মের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-র শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ’৬৬-র ঐতিহাসিক ৬ দফা ও ১১ দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনসহ প্রতিটি ঐতিহাসিক বিজয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি ও আন্দোলন সফল করায় তৎকালীন ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা অপরিসীম।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন