সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অচল বেলারুশ, ধর্মঘটের ডাক

স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সঙ্কটের মুখে পড়ছে বেলারুশ। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি, ভোট চুরিসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে সোমবার ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ রাজপথে জড়ো হন। সামনে আরো বড় পরিসরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন নির্বাসনে থাকা দেশটিরা বিরোধী দলীয় নেত্রী শ্বেতলানা টিখানোভস্কায়া।

১৭ আগস্ট সোমবারও রাজধানী মিনস্কের পথ-ঘাট ঢেকে যায় বিক্ষোভকারীদের অবস্থানে। যা দেশটিতে এ যাবৎকালের সব চেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। আর এ আন্দোলন থেকেই আরও বড় পরিসরে ধর্মঘটের ডাক এসেছে।

গেল ৯ আগস্টের ভোটকে কেন্দ্র করেই মূলত অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বেলারুশে। ঐ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রত্যাখানের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে গদি ছাড়ার দাবি জানিয়ে আসছেন দেশটির বহু নাগরিক। এমন অভিযোগকে ভুল আখ্যা দিয়ে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমেই বিজয়ী হয়েছেন বলে দাবি ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের।

লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপি, জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখা ও বিরোধীদের নির্মূলের অভিযোগ এনেছেন বিক্ষোভকারীরা। আর তাদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশি হেফাজতে অন্তত ২ বিক্ষোভকারী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আটক হয়েছে ৬ হাজারের বেশি মানুষ।

চলমান সঙ্কটে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের পাশে আছেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

অন্যদিকে, সরকার বিরোধী বিক্ষোভে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

তিনি বলেন, বেলারুশের নাগরিকদের অবশ্যই স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ’কে দেশটির সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান ম্যাক্রোঁ।

তবে, বেলারুশের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটের কারণে বর্হিবিশ্বের পক্ষ-বিপক্ষে অবস্থানে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন