জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউর পাশে বৃহস্পিতবার (৭ জানুয়াির) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিভিয়ে ফেলা হয়। ফলে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
যেখানে আগুন লেগেছিল, সেই নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রটি (আইসিইউ) হাসপাতালের পুরাতন ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত। আইসিইউ ইউনিটের পাশ ঘেঁষে চিকিৎসকদের একটি কক্ষ। সেখানে বিশ্রাম করার জন্য পাঁচটি বিছানা আছে। কক্ষের পাশের একটি স্থানে পড়েছিল শত শত সিগারেটের শেষাংশ, বিস্কুটের প্যাকেট, কাপড় ও পানির খালি বোতল।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, হাসপাতালের বৈদ্যুতিককাজে নিয়োজিত কর্মী, নার্স ও সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ওই নোংরা স্থানে ফেলা জ্বলন্ত সিগারেট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘চারতলার কার্নিশে জমে থাকা খালি প্লাস্টিক বোতল ও বর্জ্য থেকে আগুন লাগে। ধারণা করা হচ্ছে, সিগারেটের উচ্ছিষ্ট অংশ সেখানে ফেলার কারণে আগুন ধরে যায়। এ সময় প্রচুর ধোঁয়া বের হতে থাকে।’
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন। একজন বলে উঠলেন, ‘স্যার, সিগারেট খেয়ে বের হলেন, আর আগুন ধরে গেল।’ পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাঁরা আর নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি। সেখানে থাকা তৃতীয় আরেকজন বলেন, ‘হাজার হাজার সিগারেটের শেষাংশ সেখানে পড়েছিল। আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরেও সেখানে অনেকগুলো মুথা পড়ে আছে।’
হাসপাতালের সাবডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (এসডিই) বখতিয়ার আহমদ বলেন, ‘এখানে বিদ্যুতিক ত্রুটি থেকে আগুন লাগার কোনো সুযোগ নেই। সিগারেট ফেলার পর আগুন লাগছে বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় অব্যবহৃত জিনিসপত্র পড়ে থাকতে পারে। সেগুলো কীভাবে দ্রুত পরিষ্কার করা যায়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করব।’
এর আগে দুপুর ১টা ৪৮ মিনিটে ঢামেক হাসপাতালের পুরাতন ভবনের চারতলার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন জানান, পরে তিনটি ইউনিট একযোগে কাজ করে ২টা ৫ মিনিটে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনার তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন