জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ থেকে ১৭ আগস্টের মতো অপরাজনৈতিক তৎপরতা চিরতরে দূর করতে হবে। সাম্প্রদায়িক ও অনগ্রসর-পশ্চাৎপদ দৃষ্টিভঙ্গির চূড়ান্ত পরিণতির নাম জঙ্গিবাদ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ
সোমবার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, প্রতিটি অপরাধের নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার হলে ১৭ আগস্টের মত ঘটনা ঘটাতে কারো সাহস হতো না। দেশের যখন বিভক্তি আর প্রতিহিংসার রাজনীতির চলে তখনই অশুভ শক্তির উত্থান ঘটে। দেশের প্রতিটি শান্তিকামী মানুষ আর কোনো ১৭ই আগস্ট, ২১শে আগস্ট দেখতে চায় না।
নেতৃদ্বয় বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশে একযোগে ৬৩টি জেলায় প্রকাশ্য দিনের বেলায় দেশে বানানো টাইমবোমা বিস্ফোরিত হয়। শুধু বাংলাদেশেই নয়, এমন একটি ঘটনা সমসাময়িক ইতিহাসে নজিরবিহীন। এর মধ্য দিয়েই প্রমানিত হয় কতটা ব্যর্থ ও দায়িত্বহীন সরকার ছিল তখনকার সরকার। বর্তমানে দেশে যে জঙ্গিবাদ নিয়ে সরকার ও সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠিত তার জন্ম ও বিস্তারও সেই সময়টাতেই।
তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘটনা, ২০০৫ সালে একযোগে ৬৩টি জেলায় বোমা বিস্ফোরণ, ২০১৬ সালে ১ জুলাই গুলশানের ঘটনার মতো আর কোনো ঘটনা দেশের মানুষ দেখতে চায় না। দেশের মানুষ তাদের জানমালের নিরাপত্তা চায়। চিরতরে এ দেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের নির্মূল চায়। এটি করতে হলে যেমন দেশের মানুষের নিঃশর্ত সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন একইভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে এসব বিষয়ে তথ্যের আদান-প্রদান প্রয়োজন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ঘুম থেকে জেগে ওঠার অ্যালার্ম ছিল। এখন সবাই জাগ্রত। এখন এই সমস্যা দূর করার জন্য একাগ্র চিত্তে কাজ করার সময়। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে আমরা কিছু তস্করের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন