সিলেটে ১৫ কারণে ভয়াবহ আকারে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

সিলেটে ভয়াবহ আকারে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। সময় যত যাচ্ছে- দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। এসব সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ মারাত্মক আহত হয়ে পঙ্গুত্বের অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছেন বাকি জীবন।

বেপরোয়া চালকদের অনিয়ন্ত্রিত গাড়িচালনা, চালকদের অদক্ষতা, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থা, সড়ক নির্মাণে ত্রুটি এবং জনসাধারণের অসচেতনতাসহ দুর্ঘটনার মোট ১৫টি কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে পর্যবেক্ষকদের দাবি। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট মহানগরীর একই সড়কে একই রাতে ঘটেছে দুটি দুর্ঘটনা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন।

এর আগে গত এক সপ্তাহে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৩জন নিহত হয়েছেন। ৩১ ডিসেম্বর রাতে ব্যাটারি চালিত টমটমের চাপায় এক নৈশপ্রহরী (নাইট গার্ড) নিহত হয়েছে। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের গোয়ালাবাজার নছিব উল্যা মার্কেটের সামনে একটি ব্যাটারি চালিত টমটম চাপা দিলে নৈশ প্রহরী রহতম আলী (৬৫) গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রহমত আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

২ জানুয়ারি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলার তালেরতল নামক স্থানে একটি মাইক্রোবাসের (ঢাকা মোট্রো-চ-১১৭২৩৬) চাপায় মনোজ কুমার দেব(৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হন। নিহত মনোজ উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির ইলাশপুর গ্রামের মনোরঞ্জন দেব খোকার ছেলে ও তাজপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী ছিলেন।

৪ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ট্রাকচাপায় তোফায়েল মিয়া (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাশিকাপন এলাকায় রাস্তাপারের সময় তোফায়েল মিয়াকে সিলেটগামী একটি অজ্ঞাতনামা ট্রাক চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু তোফায়েলের মৃত্যু হয়। সে বিশ্বনাথের পুরান সৎপুর গ্রামের আসর উদ্দিনের ছেলে। তোফায়েলের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার কাশিকাপনস্থ মানিক মিয়ার কলোনীতে বসবাস করে আসছে।

জানা গেছে, সিলেট বিভাগে গত এক বছরে (২০২০) ১৮৭ টি সড়ক দুর্ঘটনায় নারী,পুরুষ, শিশুসহ ২৫০জন নিহত হয়েছেন।  এছাড়াও আহত হয়েছেন ৩৯৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৯ জন নিহত ও ৬৪ জন আহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলায় ২১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ৬৪ জন আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় ৪৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলায় ৭৬ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৪ জন নিহত ও ২১৫ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষকরা ১৫টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। সেগুলো হচ্ছে- বেপরোয়া গতি, বিপদজনক ওভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা,  ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ, ছোট যানবাহন বৃদ্ধি, সড়কে চাঁদাবাজী, রাস্তার পাশে হাট-বাজার ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন