জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্প-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলোচনায় বসেছে ফেসবুক ও টুইটার।
এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে অ্যামাজন। উসকানিমূলক কার্যক্রমের লাগাম টানতে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী তিন টেক জায়ান্ট এ উদ্যোগ নিয়েছে। খবর এএফপি, ওয়াশিংটন পোস্টের।
এনডিটিবির খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে এমন নজিরবিহীন ঘটনার পর ওয়েবসাইটগুলো এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে ক্যাপিটল হিলে হামলার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ট্রাম্পপন্থীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে শুরু করেছে টুইটার। ট্রাম্প-সমর্থকদের ৭০ হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার। সবশেষে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটিও স্থায়ীভাবে বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ট্রাম্পের উগ্রবাদী সমর্থকরা কিউঅ্যাননের সঙ্গে জড়িত থাকায় স্থানীয় সময় সোমবার টুইটার এক ঘোষণায় এ কথা জানায়।
টুইটার বলেছে, নাগরিক ঐক্য বজায় রাখা নিয়ে আমাদের যে নীতিমালা রয়েছে, ট্রাম্প তা বারবার ও ভীষণভাবে লঙ্ঘন করেছেন। তাই তার করা তিনটি টুইট আমরা সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছি।
ব্লগপোস্টে টুইটার জানায়, গত শুক্রবার বিকাল থেকে কিউঅ্যাননের বার্তা শেয়ার করায় কয়েক হাজার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করা শুরু করে টুইটার। ওয়াশিংটন ডিসিতে সহিংস হামলার ঘটনা ও আরও বিপদের আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। কিউঅ্যানন হলো উগ্র দক্ষিণপন্থি একটি তত্ত্ব এই মতবাদ ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পাশাপাশি সংঘটিত সহিংস ঘটনাকে সমর্থন করে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন