ঢাকা গভঃ মুসলিম হাই স্কুল এ্যালামনাই এসোসিয়েশন নির্বাচন

সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||

পুরাতন ঢাকার প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহবাহী ঢাকা গভঃ মুসলিম হাই স্কুল এ্যালামনাই এসোসিয়েশন নির্বাচন ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে "ইউনাইটেড মুসলিমিয়ান প্যানেল" নিরুঙ্কুস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। 

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) এই প্রথমবারের মতো পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকা গভঃ মুসলিম হাই স্কুল এ্যালামনাই এসোসিয়েশন নির্বাচন ২০২০ অনুষ্ঠিত হয় ৷ তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে সকাল ৯টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। দিনটি পবিত্র জুম্মাবার হওয়ায় দুপুরে ১ ঘণ্টা বিরতি দেয়া হয়। দুপুর ২টায় পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। কোনরূপ বিশৃঙ্খলা বা অনিয়ম ছাড়াই সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট প্রদান করেন। স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। 

এদিকে, রাত সাড়ে ১১টায় নির্বাচন কমিশন সকলের উপস্থিতিতে ফলাফল ঘোষণা করেন। ৪১টি ব্যাচের মোট ৬৭০ জন প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র ভোটার ভোট প্রদান করেন। মোট ভোটারের ৭৭% ভোট প্রদান করেছেন। ভোট গণনায় ১টি ভোট বাতিল বলে গণ্য হয়। সৈয়দ মানোয়ার আলী কলম মার্কায় ৪৯৮টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। একই পদে নিকটতম প্রতিদন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী আহমেদ শরীফ ১৪৮ ভোট পান।   

নির্বাচনে বিজয়ী সভাপতি সৈয়দ মানোয়ার আলী জিবিনিউজকে বলেন, আজকের এই নির্বাচনে যারা কষ্ট করে ভোট দিতে এসেছেন সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, স্কাউট সদস্যদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আজকের এই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে এবং সবাই যদি মনে করেন এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে তাহলেই আমাদের সার্থকতা। 

তিনি বলেন, আমাদের অনেক দিনের প্রচেষ্টা  ঢাকা গভঃ মুসলিম হাই স্কুল এালামনাই এসোসিয়েশন গঠন করা। আমাদের পরম শ্রদ্ধেয়  মরহুম আব্দুর রশিদ স্যারের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ বাস্তবে রুপ লাভ করেছে। স্যারের প্রতি গভীর স্রদ্ধা ও ভালবাসা জানাই। 

উল্লেখ্য, ঢাকা গভঃ মুসলিম হাই স্কুল (ঢাকা সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়), রাজধানী ঢাকার লক্ষীবাজার এলাকায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় যা ঢাকায় মুসলমানদের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এটি ১৮৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯১৬ সালে এটির উর্দু ও ফারসি বিভাগ বন্ধ করে স্কুলে রুপান্তর করা হয়। এটির অন্তর্ভুক্ত একটি ছাত্রাবাস রয়েছে যার নাম ডাফরিন মুসলিম হোস্টেল।

১৪৬ বছরের ইতিহাস বহন করে চলেছে এই স্কুল। প্রতিবছর অসংখ্য ছাত্র জ্ঞান অর্জন করে পৃথিবীময় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আজ অবধি ৪৮টি ব্যাচ কালের স্বাক্ষী। রথী মহারথী, প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, এমপি, সচিব, বিজ্ঞানীসহ সর্বস্তরেই ছড়িয়ে আছে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রবৃন্দ।

এই স্কুলের কৃতী শিক্ষার্থী ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, প্রাক্তন শিক্ষা পরিচালক খান বাহাদুর আব্দুল হালিম, জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, প্রাক্তন পূর্ব পাকিস্তানের মন্ত্রী নবাব মেজর খাজা হাসান আসকারি, আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন, বিচারপতি বি. এ. সিদ্দিকী প্রমুখ। 

মন্তব্যসমূহ (১)

  • Hoitado

    2 years ago

    Mjfgxa https://newfasttadalafil.com/ - Cialis genuine cialis online <a href=https://newfasttadalafil.com/>best place to buy cialis online forum</a> Hrnpwr https://newfasttadalafil.com/ - Cialis Bruce A. Kwighn


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন