ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৪৫

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

ইন্দোনেশিয়ার সুলায়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবারও উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চলছে। এর মধ্যেই আরো কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আরো কেউ আটকা পড়ে থাকতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে।

ভূমিকম্পের আঘাতে আরও কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে সুলাওসি দ্বীপে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। ভূমিকম্পের পর কয়েক হাজার মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

 

ওই ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে, ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের একদিন পর পশ্চিম সুলায়েসি জেলা এবং মামুজু ও মাজিনে এলাকায় ৫ মাত্রার পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। তবে এ থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

 

শুক্রবারের ওই শক্তিশালী ভূমিকম্পে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ২০১৮ সালে ভূমিকম্পের পর সুনামিতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

মামুজু উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা আরিয়ান্তো জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের আঘাতে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪২ ছিল। পরবর্তীতে আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়া লোকজনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ভূমিকম্পে একটি হাসপাতাল ধসে পড়েছে। ওই হাসপাতালে ১২ জনের বেশি চিকিৎসক এবং নার্স ছিলেন। তারা ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কমপক্ষে একটি হোটেল আংশিক ভেঙে পড়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া আরো প্রায় ১৯০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ভূমিকম্পে মামুজু শহরের বিমানবন্দরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার রেড ক্রস জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে ওষুধ এবং ত্রাণ সরবরাহ করতে গিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তাদের বেশ কয়েকটি টিম ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া লোকজনকে খুঁজে বের করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

শুক্রবার মামুজু থেকে ৩৬ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ১৮ কিলোমিটার। প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে থাকে।

এর আগে ২০১৮ সালে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও এরপর সুনামির আঘাতে ৪ হাজার তিনশো জনের মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে অনেকেরই কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন