জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
সিলেট বিভাগীয় প্রধান ডাকঘরে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় প্রধান ডাকঘরের কনফারেন্স হলে ডাক কর্মচারীদের নিয়ে ‘ডমেস্টিক মেইল মনিটরিং সফটওয়্যার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় মতনিমিয় সভা।
শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (সিলেট বিভাগ) মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ডাক সার্ভিস) মো. শাহাব উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক অধিদপ্তরের (ডাক) পরিচালক এস.এম হারুনুর রশিদ, ডাক অধিদপ্তর (ঢাকা)-এর ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল শাহ আলম ভূঁইয়া, সিলেট প্রধান ডাকঘরের সহকারী পোস্টা মাস্টার জেনারেল কাম পোস্ট মাস্টার সুজিত চক্রবর্তী, ‘ডমেস্টিক মেইল মনিটরিং সফটওয়্যার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা’র প্রশিক্ষক মো. মহসিন উছমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার (ট্রেজারি) মুজিবুর রহমান, সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল (হবিগঞ্জ বিভাগ) আব্দুল কাদির, মৌলভীবাজার প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার তন্ময় দে চৌধুরী, পোস্ট অফিস সুপার মলয় কান্তি সরকার, পোস্ট অফিস পরিদর্শক বাবলু রায়, লিপ্টন রঞ্জন রায়, অনিমেষ দাশ, রুনু চক্রবর্তী, আসাদুজ্জামান, মুহাম্মদ আল রাজি ও সুর্য লাল দাশ প্রমুখ।
দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে বিকেল ৪টায় বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের উপজেলা পোস্ট মাস্টার ও সহাকারী পোস্ট মাস্টারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (সিলেট বিভাগ) মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রধান ডাকঘরের সহকারী পোস্টা মাস্টার জেনারেল কাম পোস্ট মাস্টার সুজিত চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক- সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার কৃতিসন্তান মো. সিরাজ উদ্দিনকে সিলেট বিভাগীয় প্রধান ডাকঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয় এবং অনুষ্ঠানের শেষাংশে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
মতবিনিময় সভায় ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ডাক বিভাগকে সম্পুর্ণরূপে ডিজিটাল ডাকঘরে রুপান্তরে সকল ধরনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অভন্ত্যরীণ চিঠি ও পার্সেল যেন সহজে গ্রাহক ট্র্যাক ও ট্রেসিং করতে পারে সে জন্য মেইল মনিটরিং সফটওয়ার তৈরি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কৃষকের পণ্য ডাক বিভাগ সরাসরি ক্রেতার নিকট পৌছে দিবে এবং পোস্ট অফিস উদ্যোক্তাগণের মাধ্যমে ই কমার্স পণ্য আদান প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, কৃষকের পণ্য যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য প্রতিটি প্রধান ডাকঘরে চিলার রুম তৈরি করা হবে। চিলার রুমে প্রয়োজনমতো ২ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কৃষকদের পণ্য রাখা হবে। চিলার রুমের একটিতে মাছ-গোশত ও সবজি ফ্রিজিং করা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন