মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধিঃমার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউসে আসীন হলেন তিনি। শুরুতে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কমলা হ্যারিস। নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি। একই সঙ্গে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও আফ্রো-এশীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট পেল মার্কিন জনগণ। উভয়ের শপথের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হলো বাইডেন-কমলা অধ্যায়। সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টের কাছে বাইবেল ছুঁয়ে শপথ নেন বাইডেন। কমলাকে শপথ পড়ান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সোনিয়া সোতোমেয়র। মার্কিন ইতিহাসে লাতিন বংশোদ্ভূত বিচারক তিনি। এর আগে স্ত্রী জিল বাইডেনকে নিয়ে ক্যাপিটলে হাজির হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ সময় জিলের হাত ধরে ছিলেন বাইডেন। বেগুনি রঙের কোট পরিহিতা কমলার সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী ডগলাস এমহফ। নির্বাচনী প্রচারণায় বেগুনি ও হলুদ রংকে বেছে নিয়েছিলেন কমলা। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছু সময় আগে আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে হাজিন হন ক্যাপিটল চত্বরে। করোনা সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবার মুখে ছিল মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসানো হয়েছিল অতিথিদের আসন। বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয় অভিষেক অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন মিনেসোটার সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার। দুই সপ্তাহের আগে ঘটে যাওয়া ক্যাপিটলে তাণ্ডবের ঘটনা উঠে আসে তার বক্তব্যে। আমেরিকার গণতন্ত্রের জয়গান গান তিনি। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে শুভেচ্ছা জানান সিনেটর ক্লোবুচার। এ ছাড়া করোনা মহামারি মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধাদের প্রশংসা করেন তিনি। মঞ্চ থেকে মিনেসোটার সিনেটর নেমে গেলে আরেক সিনেটরের বক্তব্য এবং লেডি গাগার গানের পর শপথ নেন কমলা। এরপর আরেক মার্কিন তারকা জেনিফার লোপেজের পরিবেশনা। তার গানের পরেই শপথ নিতে মঞ্চে আসেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামা। দেখা গেছে, তিন সাবেক ফার্স্ট লেডি বুশের স্ত্রী লরা বুশ, ক্লিনটনের স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামাকে। সস্ত্রীক বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও ছিলেন বাইডেনের অভিষেকে। তবে ছিলেন না জীবিত সাবেক প্রেসিডেন্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সী জিমি কার্টার। এ ছাড়া ঘোষণা অনুযায়ী ছিলেন না বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যাপিটলের মতো আরেকটা তাণ্ডব যাতে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথের দিন না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর ছিল মার্কিন প্রশাসনের। অভিষেক অনুষ্ঠান চলাকালীন ওয়াশিংটন ডিসিতে বন্ধ রাখা হয় সব ধরনের ফ্লাইট। সাধারণত যেখানে হাজার হাজার মানুষ অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে, সেখানে বাইডেনের শপথ গ্রহণ দেখার জন্য অল্প সংখ্যক মানুষকে ক্যাপিটলের সামনের ন্যাশনাল মলে আসতে দেওয়া হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন