রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় মিয়ানমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি

gbn

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন শুরু করতে আগ্রহী মিয়ানমার। এজন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসরণ করতে চায় দেশটি। এছাড়া, বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিদ‌্যমান সমস্যা সমাধানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মিয়ানমার।’

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে লেখা চিঠিতে এই আগ্রহের কথা জানান মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়কমন্ত্রী কাইয়া টিন।

এর আগে ১৯ জানুয়ারি চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন মিয়ানমারের মন্ত্রী। বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেও জানান তিনি। পারস্পরিক অলোচনার ভিত্তিতে ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন মিয়ানমারের মন্ত্রী।

কাইয়া টিন চিঠিতে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো তিনিও মনে করেন, করোনা মহামারির কারণে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জাতির মধ্যে পারস্পরিক সংহতি ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

কাইয়া টিন ও মোমেন একই সময়ে জাতিসংঘে নিজ নিজ দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক নিয়ে সংকটে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে। কিন্তু নানা টালবাহানা করে একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি দেশটি। গত বছর দুই দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরে ফিরতে রাজি হননি রোহিঙ্গারা। সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ভার্চুয়ালি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে মিয়ানমার চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিল।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন